November 19, 2025, 10:43 am
Logo
শিরোনামঃ
আশুলিয়ায় ফুটপাত হকার মুক্ত করে, ভাদাইল প্রাইমারি ফ্রেন্ডস ক্লাব এর উদ্যোগে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ সাভারে ইয়াজ উদ্দিন সরকার স্মৃতি মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ সাভারে ঐতিহাসিক ৭ ই, নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে, সালাউদ্দিন বাবুর পক্ষে আলোচনা সভা  সাভার পৌরসভায় জামায়াতের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৯ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবু আশুলিয়ায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মান’ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও গুমের শিকার সুরুজ্জামানের লোমহর্ষক বর্ণনা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরকে ভোটব্যাংক হিসেবে নয়, সুনাগরিক হিসেবে মূল্যায়ন করে এনসিপি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার আজ মহা অষ্টমী ও কুমারী পূজা
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

সিলেটে সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে

প্রতিবেদকের নাম 417
নিউজ আপঃ Saturday, May 21, 2022

পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমায় সিলেটে সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সিলেট নগরীর বাসাবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করলেও অনেক রাস্তা অনেক জলনিমগ্ন রয়েছে।

সিলেটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্তমানে নদীর পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আরো কয়েকদিন পানিবন্দি থাকতে হবে সিলেটবাসীকে।

বন্যায় যেসব বাঁধ ভেঙেছে, তা আবার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছেও বলে জানান তিনি।

পাউবো জানিয়েছে, কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধির ফলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৯টায় কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে বিপlসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আগের দিন শুক্রবারের চেয়ে শনিবার দুটি পয়েন্টে পানি প্রবাহ যথাক্রমে ১১ সেন্টিমিটার ও ৭ সেন্টিমিটার কমেছে।

এছাড়া শনিবার কুশিয়ারা নদী অমলসিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার, শেওলায় ৫৫ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি আগের দিনের চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অবশ্য অমলসিদ ও শেওয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ সামান্য কমেছে।

সিলেট নগরীর বাসিন্দারা সমকালকে জানান, ‘পানি কিছুটা কমলেও কমেনি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ। বাসাবাড়ি থেকে পানি নামায় অনেকে ফিরলেও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকের ঘর বসবাসের অনুপযোগী করেছে।’

নগরীর উপশহর এলাকার আব্দুস শহীদ বলেন, ‘পাঁচ দিন পর বাসায় ফিরলেও পানিতে অনেক জিনিস নষ্ট হয়েছে। ময়লা ও পচা দুর্গন্ধে বাসায় এখনো থাকার মত পরিবেশ নেই।’

গৃহিণী হোসেন আরা বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাসহীন অবস্থার পাশাপাশি খাবার পানির সংকট পরিস্থিতিকে চরম আকার ধারণ করেছে। এভাবে তো বাসায় থাকা যায় না। বিশেষ করে যেসব মানুষ নিচতলায় বসবাস করেন, বন্যায় মূলত তাদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। অনেকে পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন; বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।’

পুরো জেলার ১৩টি উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বন্যার্তদের জন্য ৩২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি এখনও নামেনি। সরকার বন্যার্তদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।’


এই বিভাগের আরও খবর....
ThemeCreated By bdit.Com
Share