যদি দিয়াশলাই বাজারে দুস্প্রাপ্য হয়ে যায় তবে অবস্থা কেমন হতে পারে তার চিত্রটি ফুটে উঠেছে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলাতে।
সয়াবিন তেলের পর এবার ঈশ্বরদী বাজার থেকে দিয়াশলাই উধাও হয়েছে। খুচরা-পাইকারি কোথাও এক বাক্স দিয়াশলাই পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ভোক্তারা বেকায়দায় পড়েছেন। কোথাও পাওয়া গেলেও এক টাকার দিয়াশলাই বাক্স দুই টাকা আর দুই টাকারটা ৩-৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দিয়াশলাইয়ের বিকল্প লাইটারও বিক্রি বেড়ে গেছে। ক্রেতাদের দাবি, এই সুযোগে দামও বেড়ে গেছে এসব পণ্যের।
বুধবার (১৮ মে) শহরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিয়াশলাই পাওয়া যাচ্ছে না। যদি কোথাও পাওয়া যায়, তবে দাম বেশি।
বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আখতার হোসেন জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ফ্যাক্টরি থেকে ম্যাচ সরবরাহ করা হচ্ছে না। মজুত যা ছিল গত কয়েকদিনে সব বিক্রি করে দিয়েছি। এখন কারো কাছে স্টক নেই। খুচরা দোকানদারদের কাছে কিছু স্টক থাকতে পারে। সুযোগ বুঝে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে পারে বলেও জানান তিনি।
পাইকারি বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা সাপ্লাই না পেলে কী করবো। কোম্পানি মাল দিচ্ছে না।’
ম্যাচের বিকল্প লাইটার বিক্রি বেড়ে গেছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন। তিনি বলেন, ‘লাইটারের দামও ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারদের কাছ থেকেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।’
ক্রেতা সুরঞ্জন কুন্ডু বলেন, ‘সয়াবিনের মতো ম্যাচও কারসাজি করে উধাও হয়েছে। গম আমদানির সমস্যার কথা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে আটার দাম লাফ দিয়ে বেড়ে গেলো। কী যে হচ্ছে বুঝতে পারছি না।’
আড়মবাড়িয়ার আলমাস আলী বলেন, ‘ম্যাচ নাই, নাই। এক দোকানে পেলাম, কিন্তু এক টাকার ম্যাচের দাম তিন টাকা।’
ঈশ্বরদী বাজারের বড় সরবরাহকারী কাজিম স্টোরের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম বলেন, ‘ম্যাচ উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। শুনেছি বারুদের দাম বেশি হওয়ায় ম্যাচ বানিয়ে লোকসান হচ্ছে। তাই তারা ফ্যাক্টরি বন্ধ রেখেছে। দু’একটা গ্রুপের ফ্যাক্টরি চালু থাকলেও ঈদের পর সরবরাহ নেই।’
এবিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পাবনার সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাচ উধাওয়ের বিষয়টি এখনও জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’