দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যমের একটি হচ্ছে ট্রেন। সেখানেও হতাশার ছাপ, বললেন টিকিট করতে আসা সাধারন মানুষ। ট্রেনের টিকিট পেতে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
একটি টিকিট হাতে পেতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদেরকে। ট্রেনের টিকিটের অনলাইন সিস্টেমের উন্নয়নের কাজ চলছে। এ কাজ আগামী ২৫শে মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এটা শুরু হয়েছে ২০শে মার্চ। এ সময়ে হাতে লেখা কাগজের টিকিট দেয়া হচ্ছে। ফলে টিকিট দিতে সময় লাগছে অনেক। এখন মাত্র ২ দিনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে।
শতভাগ টিকিট দেয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। তাই সবাই এসে ভিড় করছেন কমলাপুর স্টেশনে। আজ সকালে সরজমিন এসে কমলাপুর স্টেশনে এই চিত্র দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, ২০০৭ থেকে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি করছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেম (সিএনএস)। তাদের সঙ্গে আমাদের ১৫ বছরের চুক্তি ছিল। যা শেষ হচ্ছে ২০শে মার্চ। এরপর আমরা নতুনভাবে টেন্ডার করি। সেই টেন্ডারে কাজ পেয়েছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি সহজডটকম।
তিনি আরো জানান, যেহেতু ২০ মার্চ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেহেতু এখন থেকে ট্রেনের টেকিট বিক্রি করবে সহজ। তাদের অভ্যন্তরীণ সেটআপের জন্য ৫ দিন সময় নিয়েছে। ২৬ তারিখ থেকে তারা ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে।