রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৭নং চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ভোট গণনা না করেই এক ইউপি সদস্যকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ করেছেন পরাজিত প্রার্থীরা। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে তিন প্রার্থী পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন জনসংযোগ করেন।
পরাজিত প্রার্থীরা নিজ ওয়ার্ডের জনসংযোগ করে এ বিষয়ে রিটানিং অফিস ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের নির্বাচনে পরাজিত সদস্য প্রার্থী জামাল উদ্দিন,নজরুল বিশ্বাস ও কাশেম মোল্লা।জামাল উদ্দিন,নজরুল বিশ্বাস ও কাশেম মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘রবিবার (২৬ ডিসেম্বর ) বাঘা উপজেলার ৭নং চকরাজাপুর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আমরা ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেছি। সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দিয়ারকাদিরপুর হাজী এবতেদায়ী মাদ্রাসা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়। তবে ভোট শেষে এ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সব ব্যালট পেপার গণনা না করেই সব প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে ভোট গণনার আগেই জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। এরপর আমির উদ্দিন নামের এক প্রার্থীকে ইউপি সদস্য হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ সময় ভোট গণনার কথা বললে পোলিং এজেন্টদের ধমক দিয়ে জানানো হয়, ভোট গণনা হয়ে গেছে, দুই বার গণনার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
তারা আরও বলেন, ‘এ সময় পোলিং এজেন্টরা ফলাফল শিটে স্বাক্ষর দিতে না চাইলে তাদেরকে বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধমকি দিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।’ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যালট পেপার গণনার দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে সে ওয়ার্ডের ভোট গণনার দাবিতে আদালতে দ্বারস্থ হবে বলে তারা জানান।