সুবিধা নিয়ে প্রভাবিত হয়ে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিয়েছে সংশ্লিস্ট কেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসাররা এমন অভিযোগ তুলে সংবাদিক সম্মেলন করেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী নারী প্রার্থী মোসা: জাহেদা বেগম। বুধবার বেলা সাড়ে এগারটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন, সংশ্লিস্ট প্রিজাইডিং অফিসাররা তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ তাকে কেন্দ্র থেকে করে দিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিল তার নিার্বচনী এজেন্ট আলী হোসেন, শাহজাহান হাং, আলী হোসেন,মামুন,রুবিনা, ঝুমা এবং পরিবারের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে জাহেদা বেগম বলেন, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বই প্রতীক নিয়ে ৬,৭,৮ নং ওয়ার্ড থেকে তিনি র্নিবাচনে অংশগ্রহন করেন। ভোটগ্রহন শেষে (২৬ ডিসেম্বর) গননার সময় তার ৬ ও ৭ নং কেন্দ্রের নির্বাচনী এজেন্ট সরোয়ার, মামুনকে ফলাফলের বিবরনী কাগজে স্বাক্ষর রেখে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে মনগড়া ফলাফল ঘোষনা করে সংশ্লিস্ট ভোটগ্রহন কর্মকর্তারা। ৮নং ওয়ার্ডের বই প্রতীকের এজেন্ট আলী হোসেন ফলাফল বিবরনীর কাগজে স্বাক্ষর না করেই কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
ভোট পুন:গণনার দাবী জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে জাহেদা বলেন, প্রাপ্ত ভোটে তিনি জয়লাভ করলেও ৬,৭,৮ নং ওয়ার্ডের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারগন দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার বলে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে মাইক প্রতীকের প্রার্থী সালমা বেগমকে বিজয়ী ঘোষনা করেছে। বিষয়টি ভোটেরদিন রাতেই উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
একই সংরক্ষিত ওর্য়াডের অপর অংশগ্রহনকারী প্রার্থী দুলালী বেগম বলেন, ৭নং ওয়ার্ডে তার এজেন্টদের প্রবেশ করতে বাধা প্রদানসহ দীর্ঘ সময় কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ভোট গননাকালে অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত থাকতে তাকে থাকার সুয়োগ দেয়া হয়নি। কিন্তু ফলাফল বিবরনীতে তাকে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। তিনি দাবী করেন, ৮নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষনায় সময়ক্ষেপন করা হয়েছে শুধুমাত্র সালমা বেগমকে বিজয়ী করতে।
একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহনের পর ফলাফল প্রিন্ট হয়ে বের হয়ে আসে। জাহেদা বেগমকে প্রিন্টেড ফলাফল দেখানো হয়েছে। এরপরেও তিনি সন্তুষ্ঠ হতে না পারলে, নিয়মানুযায়ী ৩০দিনের মধ্যে আদালতে মামলা করতে পারেন।