পটুয়াখালীর মহিপুরে অসহায় এক নারীর রেকর্ডীয় জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউপির আলীপুর বাজার সংলগ্ন হালিমা খাতুনের খালি ঘরে ঢুকে জমি দখল করেন জব্বার ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি ঘরে প্রবেশের পর সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু করে দখলকারীরা। পরে বিষয়টি মহিপুর থানা পুলিশকে লিখিত ভাবে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন।
ভুক্তভোগী হালিমা খাতুনের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩৪ বছর আগে ওই জমি ক্রয়সূত্রে রেকর্ডীয় মালিক হিসেবে আমি ভোগদখল করছি। কিন্তু একটি ভ‚য়া দলিল সৃষ্টি করে কিছু জমির মালিকানা দাবী করে জব্বার। এনিয়ে দীর্ঘদিন বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলামান থাকার পর দখলকারীদের দলিল বাতিল করে আদালত আমাকে চুরান্ত রায়ে জমির মালিকানা দিয়েছে। এর পরেও সম্পূর্ন গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে আদালতের রায় উপেক্ষা করে আমি চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় জমিতে প্রবেশ করেছে দখলকারীরা।
তিনি আরো জানান, এর আগেও ওই জমিতে দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এবং আদালতের রায় দেখে তিনি জব্বারকে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। এর পরে কিছুদিন অতিবাহিত হলে ফের আইনের তোয়াক্কা না করে দখল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জব্বার। এমনকি সেখানে গেলে আমার পরিবারকে মারধরসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। হালিমা খাতুনের স্বামী আবদুল জলিল হাওলাদার বলেন, দখল ঘটনার সময় আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমি বরিশাল চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম।
এসময় ঘরে জব্বার ও তার স্ত্রী সন্তানকে দেখতে পেয়ে আমরা বাধা প্রদান করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমরা পুলিশকে অবহিত করে রোববার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি।
এ দম্পত্তির অভিযোগ বর্তমানে জব্বার ও তার পরিবারের ভয়ে তারা জমিতে প্রবেশ করতে পারছেন না।
মহিপুর থানার ওসি খন্দকার মো. আবুল খায়ের জানান, লিখিত ভাবে একটি অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।