পটুয়াখালীর কলাপাড়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে রুপালী ইলিশ। মহিপুর, আলীপুর ও কুয়াকাটার মৎস্য আড়ৎগুলোতে কর্মব্যাস্ততা বেড়েছে। কলাপাড়ার একশত উনানব্বইটি আড়দে প্রতি দিন প্রায় হাজার মেট্টিক টন মাছ বেচাকেনা হচ্ছে। দামও হাতের নাগালে। ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের মুখে যেমন হাসি ফুটেছে। সাধারন মানুষও তেমনি কম দামে ইলিশের স্বাদ গ্রহন করে দিচ্ছে তৃপ্তির ঢেকুর।
মৎস্য বন্দর মহিপুরে রোববার সকালে দেখা গেছে, নিজাম মাঝি দু’শ মন মাছ ধরেছে। তিনি ফয়সাল ফিস আড়দে ওই মাছ ৩৫লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। নোয়াখালী থেকে কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগরে ইলিশ ধরতে এসেছেন আযাদ মাঝি। এফবি মায়ের দোয় ট্রলারে সে ১২০ মন মাছ পেয়েছেন। মেসার্স আল্লাহ ভরসা মৎস্য আড়দে সে ওই মাছ ২২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এফবি কামাল ট্রলারের রাব্বি মাঝি মাছ পেয়েছেন ৮০ মন । মৎস্য বন্দর মহিপুরের মেসার্স আকন মৎস্য আড়দে সে ওই মাছ ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। রাব্বি মাঝি চট্রগ্রাম থেকে কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগরে ইলিশ ধরতে এসেছেন। এভাবে প্রত্যেকটি মাছ ধরা ট্রলারে ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি জেলেসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাসায়ীরা।
কলাপাড়ার মহিপুর বন্দরের মেসার্স আল্লাহ ভরসা মৎস্য আড়দের মালিক লুনা আকন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান বাজারে এক কেজির নিচে এবং ৮শ গ্রামের উপরের সাইজের মাছের দর ২৩ হাজার ৫শত টাকা মন, ৫শ গ্রামের উপরের মাছ ১৭ হাজার টাকা এবং ৫শ গ্রামের নিচের মাছ ১৪ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বেপারী বলেন, গত চারদিন ধরে সাগরে ইলিশ ধরা পড়ছে। দামও আগের তুলনায় কিছুটা কম।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ ৪/৫দিনে শতকরা ৫০ ভাগ জেলেদের জালে ভালো ইলিশ ধরা পড়েছে। এভাবে ১৫ দিন মাছ ধরা পড়লে জেলেরা ক্ষতি পুশিয়ে লাভের মুখ দেখবে।