রিনা বিশ্বাস (২৬) ছিলেন এক কন্যা সন্তানের জননী। সে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলাধীন পাট্টা ইউনিয়নের বিলজোনা গ্রামের শ্যামল বিশ্বাস এর কন্যা। গত ১০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক ধরে রিনা বিশ্বাসের বাবা মা কে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করে একই গ্রামের অজিৎ বিশ্বাসের ছেলে বিমান বিশ্বাস।
এই বিমান বিশ্বাস একজন ধুরবাজ আদম ব্যবসায়ী। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানো ব্যবসা করে। সে যে এজেন্সির মাধ্যমে লোক পাঠায় সেই এজেন্সিতে কাজ করেন একজন মহা সুন্দরী তার সাথেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ওই বিমান বিশ্বাসের।এমন কিছু তথ্য জানান নাম প্রকাশ করা সত্ত্বে একজন স্থানীয় ব্যক্তি।
শুরু কি তাই রিনা বিশ্বাস এর মৃত্যুর কিছু দিন আগে বিমান বিশ্বাস তার ছেড়ে দেওয়া সত্ত্বে ১০ লক্ষ টাকা দিতে চাই৷ তবে ওই সময় রিনা বিশ্বাস বলেন আমি এই বাড়ি থেকে বেড় হবো না বেরোলে বেড় হবে আমার লাশ। সেটাই হয়েছে রিনা বিশ্বাস এর জীবনে গত (২০ জুলাই) সকালে তাদের ঢাকা মিরপুরের বাসায় মারা জানা তিনি।
এর আগে গত (১৭ জুলাই) গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকা মিরপুরের বাসায় জান তারা। তবে তখন গ্রামের কিছু আত্নীয়রা বলাবলি করে আসছিলো বিমান বিশ্বাস কেনো এত সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে রিনার সাথে এতে মনে হয় কিছু গন্ডগোল আছে।
অনুসন্ধান সুত্রে জানা যায়, এই বিমান বিশ্বাস হঠাৎ করে লক্ষ লক্ষ টাকা মালিক হয়ে গেছে। কিনেছে প্রাইভেট কার চলাচল দেখে মনে হয় কোটি পতি। যার ফলে পুরোন বউ ভালো লাগে না, নতুন গালফ্রেন্ড নিয়ে সময় কাটায় বলে তথ্য রয়েছে।
রিনা বিশ্বাসের কাকে অতুল বিশ্বাস বলেন, রিনার মৃত্যুর পর পাংশাতে আনা হলে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাংশা মডেল থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য গড়িমসি করলে এস,পির নিদ্দেশে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী পাঠানো হলে, তখনি থানা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায় বিমান বিশ্বাস। শুরু তাই নয় সে এলাকায় গিয়ে বলে বেড়ায় থানা ম্যানেজ করে আসছি। এছাড়াও বিমান বিশ্বাস আমাকে হুমকি দেয় তুই যদি এই মৃত্যু নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করিস তোকে গুলি করে মেরে ফেলবো।
এর আগে রিনা বিশ্বাসের মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলার জন্য তার স্বামী বিমান বিশ্বাসের মুঠোফোনে কল দিলে অপর প্রান্ত থেকে বলে জামাই বাবু ঘুমাচ্ছে।অর্থাৎ তিনি রিনা বিশ্বাসের ভাই পরিচয় দেন,যখন তাকে বলা হয় রিনার তো কোন ভাই নাই তখন বলে কাকাতো ভাই, আমার বাবার নাম তপন বিশ্বাস। সে বারবার নিউজ না করার অনুরোধ জানায়। সে বলে আমাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির ফলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় আমার বাবা,যদিও তা তুলে নেওয়া হবে। সে আরও বলেন আমার দিদি যখন মারা যায় তখন আমি দিদির বাসায় ছিলাম।
ঘটনার সত্যতা জানার জন্য রিনা বিশ্বাসের বাবার সাথে কথা বলার জন্য বাড়িতে গেলে বিমান বিশ্বাসের ফোন থেকে কথা বলা ব্যক্তির কথার সাথে কোন মিলখুঁজে পাওয়া যায় নাই। রিনা বিশ্বাসের মা বলেন আমার মেয়ে যখন মারা যায় তখন ঢাকার বাসায় মেয়ে আর জামাই ছাড়া আমার বাড়ির কেউ ছিলো না।মৃত্যুর খবর আমার জামাই আমাদের ফোনে জানালে আমি ও আমার জা ঢাকা গিয়ে মৃত দেহ নিয়ে আসি।
রিনার বাবা শ্যামল বিশ্বাসের কাছে তপন বিশ্বাসের ছেলে কই আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সে বিদেশ থাকে। পরে আবার বিমান বিশ্বাসের ফোনে কল আর ফোন রিছিভ করেন নাই।
পরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলা হলে অনেকই বলে বিমান বিশ্বাস অনেক টাকার মালিক। তাই এখন রিনার বাবা মা কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অভিযোগ তুলে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তারা বলেন এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা।