সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে সর্বমোট ১২টি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় রয়েছে। যেখানে সপ্তাহে সাতদিন ও দিনে ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়ার জন্য একজন করে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা থাকার কথা রয়েছে। সেখানে ৩টি পদশূণ্য থাকায় শতভাগ সেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসারের ৯টি পদের মধ্যে ৭টি পদই শূন্য থাকায় সেবার নামে চলছে প্রহসন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন কচুয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান। সহকারি কর্মকর্তা হিসেবে একজন দায়িত্ব পালন করার থাকলেও বর্তমানে তা শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারি হিসেবে মো. লোকমান হোসেন, নার্গিস আক্তার ও রাবেয়া আক্তার দায়িত্ব পালন করছেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে দুইজন দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও বর্তমানে একজন কর্মরত আছেন।
আরও জানা গেছে, চিকিৎসা বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডা. আকলিমা আক্তার পিয়া দায়িত্ব পালন করলেও তিনি হাজীগঞ্জে তফুরুন্নেছা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। একই বিভাগের অন্য আরেকটি পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারি হিসেবে মো. নূর উদ্দিন এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে দুইজন দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও একটি পদ শূন্য রয়েছে। উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ৯ জন থাকার কথা থাকলেও সেখানে ৭টি পদই শূন্য। দায়িত্বে রয়েছেন কাজী ফিরোজ আনোয়ার ও মো. জহিরুল কবির।
শাহরাস্তি উপজেলা কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, চিকিৎসা বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৯টি পদের মধ্যে ৬টি পদই শূন্য। মাত্র ৩টি পদে কর্মরত রয়েছেন তিনজন। এমনকি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে আয়া হিসেবে ৯টি পদের মধ্যে ৫টি পদই শূন্য। এছাড়াও পরিবার কল্যাণ সহকারি হিসেবে ৪৭টি পদের মধ্যে ৯টি পদ শূন্য। ৩৮টি পদে ৩৮ জন দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলার ৯৯টি পদের মধ্যে ৬২টি পদে কর্মরত কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও কর্মচারী থাকলেও ৩৭টি পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে প্রায় ৭০ ভাগ শূন্য ও কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকায় প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সেইজন্য জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও অধিদপ্তরের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তরিকতা চেয়েছেন উপজেলায় কর্মরত দায়িত্বশীলগণ এবং সচেতন মহল।
এই বিষয়ে কথা হয় শাহরাস্তি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো।