আর কে ওসমান আলী দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক এমপি মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর বড় সন্তান জননেতা শিবলী সাদিক রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ ও উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ পিকনিক স্পট স্বপ্নপুরীর উত্তরাধিকারি। শিবলী সাদিকের পদচারণায় বদলে গেছে বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাটের উন্নয়ন চিত্র। বর্তমান সরকার চার উপজেলায় উন্নয়নের জন্য যতগুলো প্রকল্প দিয়েছে সবগুলো প্রকল্পই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন শিবলী সাদিক। তার নামে নেই কোন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ। শিবলী সাদিকের ব্যবহারে মুগ্ধ চার উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। চার উপজেলায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আস্থা রয়েছে তার উপর । তিনি কোন বিতর্কীত কর্মকান্ডে নিজেকে জড়ান নাই।
২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অনেকে নির্বাচিত হয়, এই সময় শিবলী সাদিক জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তখন তিনি জামায়াতের হেভিওয়েট প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামকে পরাজিত করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবলী সাদিক ২০ দলীয় ঐক্যজোট মনোনীত (জামায়াত) হেভিওয়েট প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামকে ২ লাখের অধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তৃতীয় বার জয়ী হয়েছেন।
দিনাজপুর-৬ এর সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিজয়ী নেতা শিবলী সাদিককে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দেখতে চায়।
এদিকে আওয়ামীলীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চার উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃনমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দাবী তুলেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দুই বারের জনপ্রিয় এমপি এবং সাবেক এমপি মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু’র সুযোগ্য সন্তান শিবলী সাদিকের পক্ষে। স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিবলী সাদিক’কে মন্ত্রী সভায় দেখতে চেয়ে রীতিমত ঝড় তুলছেন তারা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ছেষোট্টির ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সব খানেই ছিল এখানকার মানুষের জোরালো অংশগ্রহণ। তারপরও স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বারবার আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও দিনাজপুর-৬ আসনবাসীর ভাগ্যে আজও জোটেনি মন্ত্রীত্ব।
এ ব্যাপারে বিরামপুর উপজেলা আ.লীগের সাঃ সম্পাদক খাইরুল আলম রাজু বলেন, দিনাজপুর-৬ একটি হেভিওয়েট আসন। মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে একজন এমপির যা যোগ্যতা থাকা দরকার তার সবগুলোই শিবলী সাদিকের আছে। আমি বিরামপুর উপজেলা আ.লীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর দাবি জানাচ্ছি, শিবলী সাদিক দ্বিতীয়বার জয়ী হয়েছেন আশাকরি এবার আপনি তাকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেবেন। এটা দিনাজপুর-৬ আসনের সাড়ে ৪ লাখ ভোটারের প্রাণের দাবী।
বিরামপুর ১ম শ্রেণী পৌরসভার পৌর মেয়র আলহাজ্ব লিয়াকত আলী সরকার টুটুল বলেন, শিবলী সাদিকের দক্ষ নেতৃত্বে দিনাজপুর-৬ আসন আ.লীগের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবী জানাই তিনি যেনো শিবলী সাদিক কে মন্ত্রী সভায় স্থান দেন।
বিরামপুর উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন টিটু বলেন, রাজনৈতিক জীবনে সৎ ও পরিচ্ছন্নতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এমপি শিবলী সাদিক কে এবার মন্ত্রী করবেন বলে আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিনাজপুর-৬ আসনে আমরা কোন দিন মন্ত্রী পাই নাই, আশা করি এবার আমরা মন্ত্রী পাব।
চার উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ মনে করেন সৎ এই নেতা মন্ত্রী হলে দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সায়েম সবুজ জানান, এমপি শিবলী সাদিকের যোগ্য নেতৃত্বে চার উপজেলা আওয়ামীলীগ সুরক্ষিত ও সুসংগঠিত তাকেই মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়া হোক।
হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবী মন্ত্রীসভায় দিনাজপুর- ৬ আসনের যোগ্য নেতা ও গণমানুষের আস্থার প্রতিক এমপি শিবলী সাদিক’কে মন্ত্রীসভায় যাওয়ার সুযোগ করে দিবেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পার্থী আব্দুল রশিদ জানান, বর্তমান সরকার যে ধারবাহিক উন্নয়ন করেছে তার প্রতিদান সাধারন মানুষ দিয়েছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানাই, সাধারন মানুষের আশা এবার এমপি শিবলী সাদিকের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হবে