হেরোইন, ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে মারাত্মক এই “খাটপাতা
। জসিম মাহমুদ।।
২/৩ মাস আগেও কথিত মাদক ‘খাটপাতা’ সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের কোনো ধারনা ছিল না। অন্ধকারে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ঢাকা কাস্টমস হাউস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সম্প্রতি প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের তিন হাজার কেজি ‘খাটপাতা’ নামক জব্দ করা হয়েছে। আসলে এই ‘খাটপাতা’ কী? কীভাবে এলো বাংলাদেশে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন নিয়ে এবারের আয়োজন- বাংলাদেশে নতুন মাদক ‘খাটপাতা’র অজানা অধ্যায়।
‘খাটপাতা’ কী?
আজব নেশাদ্রব্য ‘খাট’ বা ‘মিরা’ নামে এই উদ্ভিদটি নিউ সাইকোট্রফিক সাবস্টেন্সেস (এনপিএস) নামে পরিচিত। অনেকে একে ‘আরবের চা’ বলে থাকেন। ‘ইথিওপিয়ান গাঁজা’ নামেও পরিচিত। যেটি কিনা আন্তর্জাতিকভাবে ‘সি’ ক্যাটাগরির মাদক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।আফ্রিকার দেশ জিবুতি, কেনিয়া, উগান্ডা, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেনে ওই গাছ পাওয়া যায়। এই নেশাদ্রব্য আফ্রিকার দেশগুলোতে বহু আগে থেকেই প্রচলিত। তবে ইদানীং বিভিন্ন দেশে হেরোইন বা ইয়াবার মতো মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ভেষজ নেশার পাতা।টুকরো টুকরো সবুজপাতা। দেখে অনেকেই গ্রিন টি ভেবে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। একমাত্র বিশেষজ্ঞের চোখই বলে দিতে পারে, যে এটি কোনো চা বা সাধারণ পাতা নয়। এই হল নতুন ধরনের মাদক ‘খাট’। মাদকসেবীরা এ পাতাটিকে চিবিয়ে বা পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মতো খেয়ে থাকে।‘খাট’ মূলত পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সোমালিয়া ও ইথিওপিয়াতে উৎপন্ন হয়। সেখান থেকে রফতানি হয় ইউরোপ আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যসহ অস্ট্রেলিয়ায়।সম্প্রতি ঢাকায় এনপিএসের কয়েকটি চালান বাজেয়াফত করে শুল্ক বিভাগ। তার পরেই শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন এ মাদকের নাম।শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো এলাকাসহ রাজধানীর কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কেজি খাট জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার।সর্বশেষ চালানটি ইথিওপিয়া থেকে দেশের ২০টি ঠিকানায় ‘গ্রিন টি’ হিসেবে আনা হয়েছিল। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। খাটের প্রধান আমদানিকারক পূর্ব আফ্রিকার কয়েকটি দেশ।