বুধবার (৫ই এপ্রিল) দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা আক্তার নামের এক গৃহবধু গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। ভিকটিম মেঘনা আক্তার (২৮) হাতিয়া উপজেলার ৯নং বুড়িরচর ইউনিয়ন জোড়খালী গ্রামের জনৈক মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী এবং একই এলাকার জনৈক মোঃ মাইন উদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর আনুমানিক ০১.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মেঘনা আক্তার পারিবারিক কলহের জেরে সকলের অগোচরে তাহার স্বামীর বসত ঘরের বারান্দার আড়ার সাথে লাইলন রশি দিয়া গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিক হাতিয়া থানাধীন সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে সংবাদ দিলে, সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমের লাশ শনাক্ত করে ভিকটিমের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। পরবর্তীতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এ যেন এক আত্মহত্যার প্রতিযোগিতা চলছে। বিগত বছরে এই উপজেলায় অন্যন্ত শতাধিক নারী-পুরষের আত্মহত্যা করেছে। এই আত্মহত্যার প্রবনতা যেন জাপানের আত্মহত্যার নাম করণ হেরিক্যানকেও হার মানিয়ে যাচ্ছে।এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের চলমান অর্থ সংকটের বিরুপ প্রভাব সরাসরি পড়ছে হাতিয়া উপজেলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর। অভাব অনটনে প্রতিনিয়ত পুড়ছে হাতিয়া উপজেলার সাধারণ মানুষের হৃদয়, তৈরী হচ্ছে পারিবারিক কলহের তীব্রতা বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। এছাড়াও এই উপজেলায় মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার নুনতম থাকায় স্বাভাবিক জীবন যাত্রার বাহিরে এদের ব্যাক্তি জীবন নিয়ে চরম হতাশা আর বিরুপ চিন্তা-ভাবনার প্রভাব তীব্র আঁকার ধারণ করছে।এই উপজেলার মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধী ক্যাম্পেইন এখন সময়ের দাবী। নাহয় জাপানের হেরিক্যানকেও হার মানাবে হাতিয়া আত্মহত্যার প্রবনতা।