সাভার উপজেলা সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ মে) বিকাল ৬ টায় সাভার সিটি সেন্টারের পেছনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা।
তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা হলেন আল আমিন ইমন(২৬) এবং শাওন আহমেদ(২৫)।
হামলায় আহত সাংবাদিক সোহেল রানাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সাংবাদিক ও সাভার উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আহত অবস্থায় সোহেল রানাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর চিকিৎসকের পরামর্শে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাঁর মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, ‘ সাংবাদিক সোহেল রানার ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৪ টা ২৬ মিনিটে সাংবাদিক সোহেল রানার ব্যক্তিগত মোবাইলটি সার্ভিসিং করার উদ্দেশ্যে সাভার সিটি সেন্টারের পেছনে ইসলাম প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অপ্পো মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে যান। দুই সপ্তাহ পর মোবাইল সার্ভিসিং করার জন্য সময় লাগবে বলে সার্ভিস সেন্টারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বেশিদিন সময় লাগার কারণে অনলাইনে অর্ডার করে আবাদত চলার জন্য বাইরে মোবাইল সার্ভিসিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিউ মার্কেটে গেলে সেখানে তার সিমটি দেখতে না পেয়ে কিছুক্ষণ পর পুনরায় অপ্পো সার্ভিসিং সেন্টারে ফিরে গিয়ে অপ্পো মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে কর্মরত শাওন আহমেদ সিমটি আছে বলে জানায়। তবে সিমটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে পরের দিন আসতে বলা হয়।
পরবর্তীতে তাদের একটি মোবাইল নম্বর চেয়ে পরেরদিন আসতে চাইলে তারা দুইজন সোহেল রানার ওপর উত্তেজিত হয়।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে আল আমিন ইমন ও শাওন আহমেদ মিলে সোহেল রানার ওপর এলোপাতড়ি মাথায় কাচের গ্লাস দিয়ে আঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। পাশের সড়কে নিয়ে ব্যাপকভাবে পিটিয়ে আহত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।