হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : মাত্র ২৮ দিনের ব্যবধানে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আবারও এক কলেজছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষিতা (১৯) বাদি হয়ে বুধবার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করে চুনারুঘাট থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় এক স্কুলছাত্রী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের শামীম আহমেদ মামুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বৃন্দাবন সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর। প্রেমের সুবাধে মামুন তাকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করতো। এ সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায়ই ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতো মামুন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে দুজনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যায়। এ সময় সেখানে অবস্থানরত মামুনের কয়েকজন সহকারি ওই ছাত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে প্রেমিক মামুন তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মামুনের সহকারি ফজলুর রহমান (২৪), আলী হোসেন (২৫) ও জুনেদ লতিফ (২৭) পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় আক্কাছ আলী দূর থেকে তাদের পাহারা দেয়।
ধর্ষণের শিকার গুরুতর আহত ওই কলেজছাত্রীকে সেখানে রেখেই ধর্ষকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে কলেজছাত্রী লোকালয়ে এসে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক বলেন- ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে মামলার নথি এখনও আমাদের কাছে আসেনি।