নোয়াখালীতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজবাড়ীর পাংশায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা। এসব কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও সংহতি প্রকাশ করেন। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার এবং দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এছাড়া মুজাক্কিরের লাশ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের রাজনীতিরও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।এ সময় বক্তারা বলেন আমার ক্রাইম নিউজ করলেন ফোনে জীবন নাসের হুমকি আসে, থানায় জিডি করলেও কোন সুরাহা আসে না।
শুক্রবার বিকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন মুজাক্কির। শনিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পাংশার কালিবাড়ি মোড়ে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা প্রেসক্লাব পাংশার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও আরটিভির জেলা প্রতিনিধি এম, মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক মিঠুন কুমার, রাকিবুল ইসলাম রাফি, মানবাধিকার রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম ও সদস্য খঃ শরিফুল ইসলাম, সুমন, সাংবাদিক ইদ্রিস আলী প্রামাণিক প্রমুখ। সাংবাদিক নেতারা বলেন, আগেও অনেক সাংবাদিককে হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হয়নি। তাই এ ধরনের সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
নিহত সাংবাদিক মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করেন। মুজাক্কির দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারের প্রতিনিধি ছিলেন।
গত রোববার রাত ৮টার দিকে তার লাশ ঢাকা থেকে বাড়িতে পৌঁছে। রাত সাড়ে ৮টায় চরফকিরা সৈয়দিয়া হাফেজ আজগর আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে মুজাক্কিরকে দাফন করা হয়।
এই বিভাগের আরও খবর....