রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে।কংক্রিটের তৈরি ব্লক দিয়ে রাখা বাঁধের প্রায় দেড়শ মিটার মুহূর্তের মধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার সদর উপজেলার গোদার বাজার এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়। তবে দুপুর পর্যন্ত ভাঙনরোধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
ভাঙন হুমকিতে আছে ওই এলাকার আধা-পাকা প্রায় ২০টির মতো ভিটেবাড়ি, মসজিদসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী বাঁধ। ভাঙন আতঙ্কে বাড়িঘর ভেঙে আরেক জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজবাড়ী পদ্মা নদীর ডানতীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ফেজ-২ এর সাড়ে ৪ কিলোমিটার নতুন ও ফেজ-১ এর সংশোধিত আড়াই কিলোমিটারসহ মোট ৭ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হয়। তবে জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় ভাঙন। ফলে এখন পর্যন্ত নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প দুটির প্রায় ২১টি স্থানে প্রায় ১ হাজার মিটারের মতো এলাকার সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়েছে।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। বর্তমানে কোথাও কোথাও নদী থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী বাঁধের দূরত্ব মাত্র ১০ মিটারের মতো। ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ ও ১৯ সালে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, ভাঙতে ভাঙতে এখন নদী বাঁধের রাস্তার কাছেই চলে এসেছে। তীর রক্ষা বাঁধের কাজ ভালো না হওয়াতে এভাবে ভাঙছে। এখন তাদের কষ্ট করে করা পাকা বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে, কিন্তু কাজ ভালো হয় না। যার মূল্য দিতে হচ্ছে তাদের। আর প্রকল্পের টাকায় পকেট ভারি করছেন কর্মকর্তারা। কাজে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যে ভাবে ভাঙছে, তাতে এখন বাঁধ ভেঙে রাজবাড়ী হুমকিতে পড়বে।
রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ গণমাধ্যম কে বলেন, ভাঙনরোধে জিও টিউব ফেলার কাজ শুরু করবো। মূলত নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও পানি কমার কারণে এখন ভাঙছে।