বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা ঢাকার অদূরে অবস্থিত সাভার উপজেলা পরিষদ। বারোটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। এর মধ্যে ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদটি অন্যতম। এ ইউনিয়ন পরিষদটি অবস্থিত আশুলিয়া থানায়। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার বসবাস এ ইউনিয়নে। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদ।
তবে এ ইউনিয়নটি ঘিরে রয়েছে ঢাকা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা। তাছাড়ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নে শিক্ষা, সংস্কৃতি,ধর্মীয় অনুষ্ঠান,খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল। একটি ইউনিয়নের উত্তর পাশের গ্রামের নাম ধামসোনা হওয়ায় এ ইউনিয়নটির নামকরণ করা হয় ধামসোনা ইউনিয়ন।
৩২.৭৭ বর্গ কিলোমিটারে ঘিরে আছে প্রায় ৮ লক্ষ জনসংখ্যার এ বিশাল ইউনিয়ন পরিষদটি। এখানে দুই শতাধিক এর বেশি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কেজিসহ) রয়েছে , মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৫ টি,উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৮টি,গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সহ ৩ শতাধিক এর বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে, মন্দির ১৪ টি, বৌদ্ব মন্দির ১টি,কবরস্থান ২০ টি, শ্মশান ২টি, ঢাকা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (DEPZ)ও এ ইউনিয়নে অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে পরমাণু শক্তি গভেষণা প্রতিষ্ঠান ১টি, জাতীয় ক্যাডেট কোর প্রশিক্ষণ একাডেমী ১ টি, বাংলাদেশ বিমান পোল্টি ফার্ম, ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি, হাট বাজার একাধিক , মৌজা ১৫টি, মোট বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৩৫ জন, থানা ১টি, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ ক্যাম্প ১টি।
এ বিশাল জনবহুল ও শিল্প-কলকারখানা এবং প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে গড়ে ওঠা এ ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী শিক্ষিত জনবান্ধব কোন ব্যাক্তিকে। তাই এ ইউনিয়নে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ইউনিয়নের জনগণ বেছে নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তারুণ্যদীপ্ত মেধাবী ছাত্রনেতা প্রিয়মুখ জনবান্ধব মোঃ সাইফুল ইসলামকে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার
পর থেকেই ইউপি সদস্য ও সদস্যাদের সার্বিক সহযোগিতা,দিকনির্দেশনায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সরকার ঘোষিত প্রতিটি কার্যক্রম ইউনিয়ন ও এলাকার উন্নয়নে সফলভাবে সম্পাদন করে আসছেন। জনসেবা প্রদানের মাধ্যমে এলাকায় সফল ও জনবান্ধব চেয়ারম্যান হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। জয় করে নিয়েছেন জনগণের মন। জনবান্ধব এ চেয়ারম্যান তাঁর নিজ কর্মদক্ষতায় আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে রূপ দিতেও সক্ষম হয়েছেন। তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তার সু-সম্পর্ক। তিনি ধামসোনা ইউনিয়ন উন্নয়নে ইউনিয়নবাসী সহ সকলের দোয়া, সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছেন সফল এ চেয়ারম্যান। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক কাজ করে দলমত নির্বিশেষে তিনি সর্ববৃহত এই ইউনিয়নের মধ্যে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা-টাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্প, এলজিএসপি, ওয়ান পারসেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেঞ্চ, কমিউনিটি ক্লিনিকে ফ্যান, চেয়ার, আলমারি, অবহেলিত রাস্তাঘাট সংস্কার ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়েছেন। উন্নয়ন পাগল, জনগণের আস্থাভাজন পরিশ্রমী বিচক্ষণ জনবান্ধব চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম এ ইউনিয়নবাসীর সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান।
এ ইউনিয়নের স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ইউনিয়নের উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণে ব্যাপকভাবে কাজ করে চলেছেন। দীর্ঘদিন পর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও ক্লিন ইমেজের চেয়ারম্যান পেয়েছেন ইউনিয়নবাসী। নাগরিক সেবা ও উন্নয়নের প্রত্যাশায় ভোটাররা আবারও পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিবেন। তিনি ইউনিয়নকে আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন।
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ইউনিয়নের সকল অসংগতি দূরসহ নাগরিক অধিকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বিশেষ করে কর্মসূচী প্রকল্প, কাবিখা-টাবিখাসহ সকল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও সদস্যাদের আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে বাস্তবায়ন করছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো সবসময় তদারকি করে চলেছেন। সততা, যোগ্য নেতৃত্ব ও উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রাখায় ইতোমধ্যে সাভার উপজেলার মধ্যে তরুণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়ন বাসীসহ সর্বমহলের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের সন্তান। কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো ভাতিজা-ভাগিনা। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ ও বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় সর্ব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আমি ছাত্র থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দলের দূর্দিনে সংগঠনকে সুসংগঠিত করা জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হামলা, মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তবু কখনো পিছুপা হইনি। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেদিয়ে আমি মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। চেয়ারম্যান আরও বলেন, নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি ছিল জনগণের সেবা করব। এ লক্ষ্যেই বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ করছি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ধামসোনা ইউনিয়নকে একটি আদর্শ ও মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করতে কাজ করছি।
এ ইউনিয়নে থাকবে না কোন বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, মাদক জোয়া এমনকি জঙ্গীবাদ। ইউনিয়নটিতে শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সরকার ঘোষিত সকল প্রকার সুবিধাদি পাচ্ছেন ইউনিয়নে বসবাসকৃত সর্বসাধারণ। আমি সারাজীবন ইউনিয়নবাসীর কল্যাণে ও উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে এ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। পাশাপাশি ধামসোনা ইউনিয়নের উন্নয়নে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন জনবান্ধব সফল এ চেয়ারম্যান।