নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
০২ ডিসেম্বর ২০১৮,
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ । ফাইল ছবি
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ । ফাইল ছবি
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ বলেছেন, সরকারের কার্যকলাপের কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের বৈঠক শেষে রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ এ কথা বলেন।
অলি আহমদ অভিযোগ করেন, সরকারি দলের লোকজন বিভিন্ন সংস্থার নামে প্রতিনিয়ত দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে নির্বাচনের ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও পরিবেশ নেই। যেভাবে জুলুম, নির্যাতন করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে।
অলি আহমদ আরও অভিযোগ করেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর অনেক প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে জেলে পাঠানো হয়েছে। মাঠ খালি করতে আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। আজ অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অনেকের ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে, তাঁদেরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। কেউ কেউ স্থানীয় সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাঁদেরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব ৬০০-এর বেশি মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছেন, একটু এদিক সেদিক হতেই পারে। সেটা যাচাই না করে বাতিল করা হয়েছে। ইসির উচিত ছিল, দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেটাও তারা করেনি।
২০–দলীয় জোটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে অভিযোগ করে অলি আহমদ বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা বসে আছেন হিমালয়ের ওপর, আর আমরা বসে আছি পাদদেশে। এটাকে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে না।’
অলি আহমদ বলেন, ২০–দলীয় জোট নির্বাচনে থাকতে চায়। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের যে কথা বলেন, সেটার বাস্তবায়ন চায়। ইতিমধ্যে ২০–দলীয় জোটের ৮০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া হবে না, ২০–দলীয় জোট বসে থাকবে না।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০–দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুর হোসেন কাসেমী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য শফি উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।