“চল সবাই খেলার মাঠে যাই, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ে মাদক কে দূরে তাড়াই” এই শ্লোগানকে ধারণ করে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাভারের রাজাসনে যাত্রা শুরু করে শফিক ফুটবল একাডেমি। এ বছর সারা দেশ হতে খুদে ফুটবলার বাছাই করে ঢাকায় চূড়ান্ত বাছাইয়ে নামে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অনুর্ধ্ব – ১৫,১৬ এবং ১৭ বছর বয়সের খেলোয়ার বাছাই অভিযানে নেমে বাফুফে ১০ হাজার খুদে ফুটবলার হতে প্রাথমিক ভাবে ২৬৩ জনকে নির্বাচিত করে।
মনোনীত ফুটবলারদের নিয়ে ২৩-২৫ ফেব্রয়ারি চূড়ান্ত বাছাই অনুষ্ঠিত হয় কমলাপুর ফুটবল স্টেডিয়ামে। সেখান থেকে ২৪ ফেব্রয়ারি অনুর্ধ্ব -১৫ এর জন্য ২৪ জন খেলোয়ার চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হন। তার মধ্যে স্থান করে নেয় রাঙ্গামাটির এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা অমিত সম্ভাবনাময় কিশোর উষামায় চাকমা (১৪)। অতিদরিদ্র বাবা-মা তার মৌলিক চাহিদা মিটাতে না পারায় পাঠিয়ে দেয় সাভারের একটি এতিম খানায়। কিন্তু দরিদ্র এই কিশোরের মনের সুপ্ত বাসনা যে অন্য সে যে হতে চায় বিশ্বজয়ী এক ফুটবলার। তাইতো সে এতিমখানার বেড়াজাল অতিক্রম করে পরে থাকে “শফিক ফুটবল একাডেমির মাঠে” একাডেমির খেলোয়ারদের দেখে সে নিজে নিজেই অনুশীলনী করতে থাকে।
বিষয়টি শফিক ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শফিউল বাসার শফিকের নজরে এলে তাকে ফ্রিতে একাডেমিতে অনুশীলনীর সুযোগ করে দেন। খেলার প্রতি একাগ্রতা দেখে এতিমখানা কর্তৃপক্ষ তাকে এতিম খানা থেকে বহিষ্কার করে। আবারও ত্রাতা হয়ে আসেন শফিউল বাসার শফিক তিনি তাকে একাডেমিতে আবাসিক ভাবে থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন। সারাদেশ থেকে বাছাই করা সেরা ২৪ জনের মধ্যে থাকতে পেরে উষামায় চাকমা প্রথমেই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন শফিউল বাসার শফিক স্যারকে সে বলে শফিক স্যার আমার সুযোগ করে না দিলে এটা কখনই সম্ভব ছিলনা।
সে আরও বলে সাখাওয়াত স্যার ( প্রধান প্রশিক্ষক) , ইসমাইল স্যার, শুভ স্যার আমাকে স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রমী হতে শিখিয়েছে, সবাই দোয়া করবেন আমি যেন দেশ সেরা ফুটবলার ও ভালো মানুষ হতে পারি। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শফিক ফুটবল একাডেমির প্রধান শফিউল বাসার শফিক বলেন ‘‘ একাডেমির পথ চলার শুরুতেই জাতীয় পর্যায়ে স্থান করে নেওয়ায় উষামাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর এভাবে তৃণমূল থেকে খেলোয়ারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়াই হবে আমার একাডেমির লক্ষ্য।