মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার উত্তর কাগজপুকুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র শাহপরান হত্যার মূল আসামি শিক্ষক হাফিজুরের সহযোগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন শাহপরানের পিতা মোঃ শাহাজান আলী। তিনি মামলাটি পুনঃ তদন্তের দাবী করেছেন।
সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের নিজস্ব কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন । সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন ২০১৯ সালের জুন মাসে আমার পুত্র শাহপরানকে হত্যা করার পূর্বে প্রধান আসামী একই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজুরের সাথে তার বাড়ীতে যাবে বলে শাহপরান কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। বেনাপোল পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত কাগজপুকুর ওয়ার্ডের কমিশনার আমিরুল ইসলাম (৪৮)সুকৌশলে অভিযুক্ত আসামি শিক্ষক হাফিজুরকে মাদ্রাসা প্রান্ত থেকে সরে যেতে সাহায্য করেন। তখন শিক্ষক হাফিজুরের ভগ্নিপতি শার্শার ডুবপাড়া গ্রামের হেদায়েতউল্লাহ পুত্র নেছার আলী ( ২৩) তা মোটর সাইকেলে করে প্রধান আসামি শিক্ষক হাফিজুরকে নিয়ে সরে পড়েন।
মৃত শাহপরানের বাবা শাহাজাহান সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করেন হাফিজুর তার ছেলেকে মেরে ফেলার সময় তার ঘরের সামনে তারই মেজ ভাই রফিকুল ( ৪৫) পাহারা দেয়। কিন্তু পুলিশ শুধুমাত্র হাফিজুরকে আসামি করেন।অন্যান্য সহযোগীকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, আমার ছেলের মূল হত্যাকারী ও তার সহযোগীদের সিআইডি কর্তৃক আবারো সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক। মূল আসামীসহ আমি সকল আসামির ফাঁসি চাই।
ঘটনা সম্পর্কে শাহপরান এর বাবা বলেন, পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারি , বিগত ২রা জুন ২০১৯ সালের বিকালে (রমজান মাস) গোগা গ্রামের গাজিপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ওস্তাদ হাফিজুরেরর বাড়ির ঘরের খাটের নিচ থেকে থেকে আমার পুত্র শাহপরান (১১) লাশ উদ্ধার করেছে শার্শা থানা পুলিশ। চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের বরাত দিয়ে শাহপরানের পিতা বলেন, মহিলা মেম্বার ফোন দিয়ে বলে, হাফিজুরের বাড়ি থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ আসছে এবং তার খাটের নিচে একটি মৃত ব্যক্তির হাত দেখা যাচ্ছে। তারপর আমি পুলিশের কাছে ফোন দিয়ে তাদের কে অবগত করি।