শান্তির পক্ষে অঙ্গীকারবদ্ধ দেশের প্রধান দলগুলোর শীর্ষ নেতার।
!!জসিম মাহমুদ!!
আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘শান্তিতে বিজয়’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তারা রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজার রাখার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে স্ব স্ব দলের পক্ষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বুধবার রাজধানীতে একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য দেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. মইন খান, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মাসুদা রশীদ চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘এবার সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, সেটা গর্বের ও খুশির খবর। সবাই মিলে আগামী নির্বাচন মান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। কেননা গণতান্ত্রিক রাজনীতির লড়াই আর শান্তি প্রতিষ্ঠার লড়াইকে আলাদা করা যাবে না।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায় দেশ গড়তে সবাইকে স্বোচ্ছার থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মইন খান বলেন, ‘আমরা কবরে গিয়ে নয়, বেঁচে থাকতেই শান্তি চাই। সবসময় শান্তি চাই। ভোটকেন্দ্রে শান্তি চাই, রাজনীতিতে শান্তি।’ তার দল শান্তি প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট তাকবে বলেও তিনি অঙ্গীকার করেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে শান্তির মানদণ্ড আছে। সেটা হলো পুরোদমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এসব নিশ্চিত করতে হবে। সবাই মিলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলুও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার দল সচেষ্ট থাকবে বলে অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক রীতিতে সব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এবার সেটা হচ্ছে। আশা করি, প্রতিটি দল যার যার জায়গা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবে। নেতাকর্মীদেরও সে রকম নির্দেশনা দেবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা অবশ্যাম্ভাবী। তাই সব দলকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।’ রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকতে প্রতীজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।