নিজস্ব প্রতিনিধি: শরণখোলা উপজেলার ৩ নং রায়েন্দা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উত্তরমালিয়া রাজাপুরের সরদার বাড়ি গতকালকে মোঃ আসাদুল সরদার, পিতা মজিবর সরদার, মাতা রাবেয়া বেগম। মোঃ জুয়েল সরদার, পিতা মজিবর সরদার, মাতা রাবেয়া বেগম। মোঃ খলিল সরদার, পিতা কদম আলী সরদার, মাতা সুফিয়া বেগম। মাসুম সরদার, পিতা খলিল সরদার, মাতা বিউটি বেগম।
গতকাল দুপুরে হৃদয় সরদার পিতা বাবুল সরদার তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করেন এবং তার পিতা বাবুল সরদার পারিবারিক কাজের জন্য চট্টগ্রামে আসেন। এই সুযোগে তার বোন কে কুপ্রস্তাব দেয়া। রাজি না থাকায় পূর্বশত্রতার জের ধরে তার ছেলেকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। তার বোন পারভিন কে বাজে প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন আসাদুল সরদার। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি বেপরোয়া হয়ে যান এবং তার ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টা তার ভাই হৃদয় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তার কাছে গেলে তিনি ওই অবস্থাতে তাকে মারা শুরু করেন। পরে তাদের সকল সদস্যগণ টেনে বের করে মারধর করে। তারা ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়ার জন্য মেডিকেলে যেতে চাইলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকেন যেন বাড়ি থেকে বের হতে না পারেন। তারা কোনমতেই পুরো পরিবারসহ বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে শরণখোলা উপজেলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে জুয়েল সরদার কিছু সাঙ্গুপাঙ্গু নিয়ে গত কালকে এসে হুমকি দিয়ে যান। যদি মামলায় যায় তাহলে তাদেরকে জীবনে মেরে ফেলা হবে এবং তার বোনকে ইজ্জতহানি করা হবে এবং আজকে ও একই ভাবে হুমকি দিয়ে আসেন। বতর্মানে ও মেডিকেলের আসে পাসে তাদের বাহিনী নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। তাদেরকে থানায় যেতে দেয়া হচ্ছেনা বিষয়টি শরণখোলা উপজেলা সকল সুশীল সমাজ এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন শরনখোলা আলোর দিশারী সংগঠন।
বর্তমানে ভিকটিম নিজের বাড়িতে যেতে পারছেন না আজ সন্ধ্যা বেলা ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল আকন তিনি উপস্থিত হন এবং তাদের মধ্যে সালিসি বৌঠক করার কথা বলেন কিন্তু আসাদুল সরদার গং শালিস বসতে রাজি নাহয়ে চলে যান।
শরণখোলা উপজেলার সকলের কাছে হৃদয় সরদারের পরিবার বিনীত অনুরোধ করেন এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে আমাদের মত সাধারন মানুষকে একটু মুক্তি দিন। সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।