রাজশাহী গোদাগাড়ীতে নৃসংশভাবে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে বাড়ি ও জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার(১৫ মার্চ) সকাল ১১টার সময় বসন্তপুর বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের জালাল উদ্দীনের বসতবাড়ীতে এ ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ ও জোরপূর্বক জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে জালাল উদ্দিন পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ৬ই মার্চ সকাল ১০টার দিকে একই এলাকার আদিবাসি গাহানু সরদারের ছেলে মোহরলাল ও জহুরলাল চৌদুয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে এক দল স্থানীয় ও বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে জালাল উদ্দীন ও তার দুই সন্তানের বাড়ীতে এই হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা বাড়ির নারী সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলেও জানান জালাল উদ্দীন। সন্ত্রাসীদের তান্ডবে প্রানের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে তারা পালিয়ে গেলে হাবিবুর রহমান তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় ভিতি সৃষ্টি করে বাড়ি ভাংচুর করে। সেইসাথে ১০টি গরু ও ২০টি ছাগল, যার আনুমানিক মুল্য ৯ লক্ষ টাকা এবং বাড়ি ভেঙ্গে ঘরে থাকা চাল, ধান ও সরিষা, যার আনুমানিক মুল্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার পণ্য নিয়ে তারা চলে যায়। সেইসাথে বাড়ি করার প্রায় ২০ হাজার ইটও হাবিবুর রহমান নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন জালাল উদ্দীন।
জালাল বলেন, তিনি প্রায় ৪০ বছর আগে গাহানু সরদারের নিকট থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় সুত্রে ১২ হাজার টাকায় হাত বায়নায় চুক্তিবদ্ধ হন। তখন থেকে জালাল উদ্দিন ও তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে এই সম্পত্তিতে বসবাস করছিলেন। গাহানু সরদারের মৃত্যুর পর মোহনলাল ও জহরলাল এই সম্পত্তি সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করেন এবং নিজের দখলে নেন । এ বিষয়ে তিনি গোদাগাড়ী থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। গত ৮ মার্চ জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে রাজশাহী আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত জহর লাল বলেন, কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নয় আমরা নিজেরাই আমাদের জমি দখলে নিয়েছি। হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়টি সত্য নয়। তাছাড়া আমরা বাড়ী দখলের সময় তারা কেউ বাড়ীতে ছিলেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম বলেন,জালাল উদ্দিন অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। জালালের ভাষ্যমতে থানার এক অফিসারকে বিষয়টি দিয়ে তদন্ত করে গরু, ছাগলসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী লুট ও বাড়ি ভাঙ্গচুরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা জমি সংক্রান্ত হওয়ায় আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। আদালত হুকুম জারী করলে আমি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
এই বিভাগের আরও খবর....