৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে রাজশাহীর ৩নং বানেশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচন ফলাফল কারচুপির অভিযোগ তুলে পূনরায় ভোট গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেম্বার প্রার্থীরা।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় শিবপুর বনিক বাজার সমিতি অফিসে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মেম্বার প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন (মোরগ প্রতীক), আমির হামজা (ভ্যান গাড়ী প্রতীক), হায়দার (বৈদ্যুতিক পাখা), বাচ্চু (ক্রিকেট ব্যাড), সালাউদ্দিন বাবুসহ (টিউবওয়েল) আরো দুই প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য আমির হামজা বলেন, গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ভোট কারচুপি ও ভোট গণনার কৌশল অবলম্বন করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে কোন ভোট গণনা ছাড়াই ফলাফল প্রদান করা হয়। এমনকি ভোট গ্রহণের পূর্বেই পোলিং এজেন্ডদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। আর এই সকল কারচুপি করেন প্রিজাইডিং অফিসার আতিকুর জামান আতিক। একই দাবিতে পূর্বে ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত আবেদন করেন যার রিসিভ কপি সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
আরেক মেম্বারপ্রার্থী মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বানেশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে আমি সহ মোট ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। ভোটের দিন সকাল থেকে ভোটাররাও বিপুল উৎসাহ নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন। সকাল থেকে আমাদের ৪নং ওয়ার্ডের শিবপুর হাট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আনন্দের সাথে ভোটাররা ভোট দিতে থাকে এমন সময় আমাদের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী (লাইট প্রতীক) মোঃ আব্দুল মালেক ভোট কেন্দ্রের ভিতর অস্বাভাবিকভাবে চলাচল শুরু করেন। যা দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এই আব্দুল মালেক মেম্বার ও সুলতান চেয়ারম্যান মিলে দীর্ঘ ১৮ বছর বানেশ্বর ইউয়িনের অপর একটি নাটকীয় মামলা সাজিয়ে নিজেদের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলেন। যার ফলে এই ইউনিয়নের মানুষ ১৮ বছর নিজেদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।
এ বিষয়ে জানতে প্রিজাইডিং অফিসার আতিকুর জামান আতিককে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা। সঠিক প্রক্রিয়ায় ভোট সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর....