রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর পাংশায় ব্যবসায়ীর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী এবং দাবি কৃত অর্থ না দেয়ায় ওই ব্যবসায়ীর মাকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই অভিযোগে জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর গ্রামের মোতালেব মন্ডলের ছেলে মোঃ মামুন হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলার প্রধান আসামি ও পাট্টা ইউনিয়নের মুচিদহ বনগ্রামের মৃত ইসলাম মন্ডল ওরফে এছোর ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৫) এবং ৪নং আসামি ও একই ইউনিয়নের পুইজোর গ্রামের শাহাদৎ মন্ডলের ছেলে বাবু মন্ডল (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদীর অভিযোগ আসামিরা বিভিন্ন সময়ে তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে নানা রকম ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদাবাজরা গত শনিবার সকালে তাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে এবং তার মা মরিয়ম বেগমের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।তার মা চাঁদা দেবার কথা অস্বীকার করলে চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়। সেই সাথে তারা তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। তার মা এর প্রতিবাদ করলে তারা তার মাকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে তার মায়ের বাম হাতের কনুইয়ের নিচে ভেঙ্গে যায়। মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে চাঁদাবাজরা ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তার মাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই তার মা চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
পাংশা থানার ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম এবং ৪ নং আসামি বাবু মন্ডল কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামি রবিউল ইসলাম এলাকার একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তাকে গ্রেপ্তার করার পর এলাকার অনেকেই রবিউলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে এবং তার অত্যাচারের অভিযোগ করেছে।
এই বিভাগের আরও খবর....