রাজবাড়ী জেলা সদরের খানগঞ্জ ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া চরাঞ্চলের ফসলী জমির মাটি দেদারছে বিক্রি করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। গত প্রায় তিন মাস ধরে এসব ফসলী জমির মাটি বিক্রির কারনে একদিকে আবাদী জমি হুমকির মুখে পরেছে অন্যদিকে স্থানীয় রাস্তা ঘাট বাজার এলাকায় বসবাসরত জনসাধারন পরেছের ধুলাবালির মহামারিতে। প্রতিদিন এ এলাকার দুটি স্থানের চড় হাটবাড়িয়া ও রঘুনাত পুরে ফসলী জমির মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে একটি পক্ষ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ এবং নষ্ট হচ্ছে ফসলী জমি ও রাস্তা ঘাট মারাত্বক সমস্যায় পরছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রভাবশালী যারা মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয়রা তাদের ভয়ে মুখ খুলতেও রাজি হননা। প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে মাটি ও বালির ট্রাক আসা যাওয়ার কারনে এই এলাকার সব রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ট্রাক চলাচলের সময় প্রচন্ড পরিমান ধুলাবালির কারনে পথচারিরা পরছেন মারাত্বক সমস্যার মধ্যে। বিশেষ করে চরাঞ্চল থেকে মাটি বালু নিয়ে ট্রাক গুলো স্থানীয় পাষান মার্কেটের রাস্তায় চলাচল করলে ধুলাবালির কারনে তারা অতিষ্ঠ জীবন যাপন করছেন। জানা গেছে অবৈধ ভাবে এই বালু গুলো প্রতিদিন বিক্রি করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মিন্টু প্রামানিক, ব্ল্যাক সোহেল, জাহিদ প্রামানিক ও মোহাম্মদ আলীসহ আরো কয়েকজন। চরে বালু কাটা স্থানে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা প্রভাব খাটিয়ে এসব স্থানে বালু কাটছে। তাদেরকে নিষেধ করার মত কোন শক্তি ও সাহস তাদের নাই।
তবে মাটি ও বালু কাটার কারনে চলের আবাদী ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আগামীতে এসব স্থানে কোন ধরনের ফসল উৎপাদন করা যাবেনা। এই স্থানে ফসলী জমি থেকে ১০ ফিট থেকে ১২ ফিট গর্ত করে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে এখানে ভাঙ্গনের কবলে পরে আশপাশের ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই স্থানীয় লোকজনের দাবী অতি শিঘ্রই এ স্থান থেকে মাটি ও বালু বিক্রি বন্ধ না করা হলে তাদের ব্যপক ক্ষতি হবে। ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন দোকানি ও স্থানীয়রা বলেন এর আগে বেশ কয়েকজন সংবাদিক মাটি কাটার স্থানে এসেছে তবে মাস পেড়িয়ে গেলেও কোন ধরনের মাটি কাটা বন্ধ হয়নি এবং কোন সংবাদও প্রকাশ করেনি তারা। এতে করে প্রভাবশালী এসব লোক গুলো আরো বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে।স্থানীয়রা অরো বলেন বালু উত্তোলন কারীরা বলেন তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু বিক্রি করছেন।
অবৈধ বালু উত্তোলনকারী মোহাম্মদ আলীকে বালু উত্তোলন কিভাবে ও কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ফোন করেছেন কেন। আপনি আরো যারা বালু তুলছে তাদেরকে বলেন। আমি আপনার কাছে কোন কিছু বলতে বাধ্য নই
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মোঃ সায়েফ বলেন,অবৈধভাবে ফসলী জমি থেকে মাটি বিক্রি করা আইনত বিধি নিষেধ রয়েছে। ফসলী জমির ক্ষতি করে কেউ যদি কোন ধরনের মাটি বা বালু বিক্রির সাথে জড়িত থাকে তাহলে তা বন্ধ সহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা ববে বলে জানান।