রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর কালুখালীতে ফরিদপুরের জনৈক সাংবাদিক প্রবীর সিকদার এর বিচার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আজাহার আলী।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় কালুখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি বলেন, ফরিদপুর জেলার জনৈক সাংবাদিক প্রবীর সিকদার গত ২৮ জুন তার ব্যক্তিবগ ফেসবুক পেইজে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ৫নং মদাপুর ইউনিয়ন কমান্ড এর প্যাড ব্যবহাওে এবং ২০/০৪/২০১৬ ইং তারিখে আমার স্বাক্ষরে উল্লেখে কথিত প্রত্যয়নপত্রের কালুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মজনু ও তার পরিবার সম্পর্কে নানারূপ বিদ্বেষমূলক মিথ্যাচার করা হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। আমি কোনো ব্যক্তিকে ঐরূপ কোন প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিনি এবং কথিত প্রত্যয়নে প্রদত্ত স্বাক্ষর আমার নয়। আমি এই মর্মে ২৮/০৬/২০২০ ইং তারিখে কালুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছি। তিনি আরও বলেন, মোঃ মিজানুর রহমান মজনু ও তার পরিবার কখনোই স্বাধীনতা বিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। বরং ১৯৭১ সালে তার পরিবার মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি বলেন, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্যাড ব্যবহার করে ও আমার স্বাক্ষর জাল করে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের এই পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে। সেই সাথে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তীও নষ্ট করার অশুভ চক্রে লিপ্ত হয়েছে।
আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সহায়তাকারী স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষদের বিরুদ্ধে এহেন মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকারী প্রবীর সিকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। এটাই জীবনের শেষপ্রান্তে এসে উপনীত হওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার আকুল আবেদন।
সাংবাদিক সম্মেলনে কালুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আতিউর রহমান নবাব, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সার্জেন্ট (অব) আকামত আলী মন্ডল, সাবেক ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ খালেক মাস্টার, মদাপুর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম রোকনুজ্জামান, বাহারুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী, খবির উদ্দিন, তাইজদ্দিন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।