আজ সকাল এগরোটায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্ভোধন করেন রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড: ইমদাদুল হক বিশ্বাস,ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা:ফজলুল হক সরদার, ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশন এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ কোহিনুর প্রমুখ। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় ৫০ টি স্টলে এই মেলায় গৃহপালিত ও বিভিন্ন খামারের গরু, ছাগল,হাস- মুরগি, ভেড়া, মহিষ, ঘোড়া সহ দেশি বিদেশী নানা জাতের পাখির সমারাহ ছিলো।
এসময় খামারি মালিক ও দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: ফজুলুল হক সরদার বলেন,বিগত তিন বছরে দেশে মাংসের উৎপাদন বেড়েছে ৮ গুণ, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ গুণ, ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ গুণ।রাজবাড়ী জেলায় মাংসের চাহিদা. ৬ লক্ষ মেট্রিকটন উৎপাদন . ৬৩ লক্ষ মেট্রিকটন, দুধের চাহিদা. ৯৭ মেট্রিকটন উৎপাদন ১.৬৫ মেট্রিকটন যার সব কিছুই উদ্বত্ব রয়েছে। প্রাণিসম্পদ প্রদশর্নী মেলার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা বলেন, আমরা সামাজিক দুটি উন্নয়নে এগিয়েছি দেখে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছেছি যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে সেটা হলো পুষ্টি।আমরা পুষ্টিতে এগিয়ে থাকার কারনে উন্নয়নশীল দেশে উন্নত হতে পেরেছি যার পেছনে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের ভূমিকা অনেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, দীর্ঘদিন পর এমন একটা আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, মানুষ এখনো এই ধরনের মেলা দেখতে চায়। এখানে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি নিয়ে আসেন খামারিরা ও শৌখিন পশু প্রেমিরা। এই মেলা পরবর্তীতে কোভিড পরিস্থিতি ভালো হলে আরো দীর্ঘ সময় করার আহবান জানান তিনি।