রাজবাড়ীতে নদীভাঙন রক্ষায় স্থায়ী সমাধানের জন্য সাত কিলোমিটার এলাকায় ৪৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে (৫ টি প্যাকেজে) প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। চলতি বছরে কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ওই এলাকায় পুনরায় ভাঙন সৃষ্টি হয়।
যার ফলে গত (৯ আগষ্ট) বিকাল ৫ টায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামিম ঘটনা স্থল পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আহাদ, পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলার পদ্মা নদীর গোদার বাজার এলাকায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, রাজবাড়ীতে নদীভাঙন রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ৪৭৬ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছিলেন।তবে কাজ শেষ হবার ২ মাসের মধ্যে পুনরায় একই এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হলো এটা দুক্ষ জনক।
এ সময় তিনি আরো বলেন, কাজের গুণগত মান নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করার সুযোগ নেই। সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোক অথবা আমাদের কর্মকর্তারাই হোক। যদি কোনো গাফিলতি কিংবা দুর্নীতি করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।প্রধানমন্ত্রী আমাদের কর্মীর মতো কাজ করতে বলেছেন। সেই জায়গা থেকে করোনার মধ্যে রাজবাড়ীতে ছুটে আসা। রাজবাড়ীকে রক্ষার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
এমনকি পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পদ্মা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় গোদার বাজার এলাকায় ড্রেজিং করে কংক্রিট দিয়ে সিসি ব্লক দ্বারা সাড়ে ৪ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করা হয়। এ বছরের ৩১ মে কাজ শেষ হয়।
তবে গত ১৬ জুলাই (শুক্রবার) গোদার বাজার চরসিলিমপুর এলাকায় ২০ মিটার ও গত ২৭ জুলাই (মঙ্গলবার) গোদারবাজার এনজিএল ইট ভাটার পাশে প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় নদী ভাঙন হয়।সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট শনিবার গোদারবাজার থেকে ২০০ গজ সামনে চর ধুঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে নদী ভাঙনে ৪০ মিটার এলাকার কংক্রিটের তৈরি সিসি ব্লক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।