সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘায় নবাগত ইউএনও’র সাথে প্রধান শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,থানায় মামলা ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী কাউন্সিলর সাহেব আলীর শাস্তি চায় এলাকাবাসি মানবিক বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

রইচ উদ্দিন খানের মালিকানা সত্ত্ব বিক্রি করার হুমকি দিলেন, নাসির উদ্দিন 

আবুল কালাম আজাদ, নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজবাড়ী থেকে / ৪৫৯
নিউজ আপঃ রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১, ৫:২৯ অপরাহ্ন

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বারোমল্লিকা মৌজায় মেসার্স রাবেয়া এন্ড ব্রিকস এর যৌথ মালিকানা ব্যবসায় প্রভাবশালী পাটনার নাসির উদ্দিন (৪০) তার অপর পাটনার পাংশা উপজেলা মোঃ রইচ উদ্দিন খান (৪২) কে প্রাণ নাসের হুমকি দিয়ে তারিয়ে দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে রইচ উদ্দিন খান।

উল্লেখ্য গত ১৭ সালে যৌথ কারবার নামা দলিলের মাধ্যমে ১ম পক্ষ পাংশা উপজেলা মৃত মুন্তাজ আলী খান এর ছেলে রইচ উদ্দিন খান ও কালুখালি উপজেলার মৃত নাদের আলী মন্ডলের ছেলে নাসির উদ্দিন এর মধ্যে অর্ধাঅর্ধি (৫০%) মালিকানা সত্ত্বে ব্যবসা শুরু হয়।
তবে পাংশার রইচ উদ্দিন নিজে সব সময় ওই ইট ভাটায় থাকতে না পারায় প্রথম থেকেই তিনি তার এক জন ম্যানেজারের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছিলো। এতে করে অপর মালিক নাসির উদ্দিন ঠিক মত হিসাবে বুঝিয়ে দিতেন না।
এমতো অবস্থায় ২০/২১ অর্থ বছরে এসে স্থানীয় প্রভাবশালী অর্ধেক ইট ভাটার মালিক নাসির উদ্দিন তার অপর পাটনার রইচ উদ্দিন খান কে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার অর্ধেক মালিকা সত্ত্ব তার কাছে বিক্রি করতে বলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রইচ উদ্দিন কে ইট বিক্রির টাকা ঠিক মত বুঝিয়ে দিচ্ছে না।
এমনকি নাসির উদ্দিন তার ভাই নজরুল ও রফিক কে ইট ভাটায় এনে রইচ উদ্দিন কে ভাটায় প্রবেশে বাধা প্রদান করছে। নজরুল সাবেক সেনা সদস্য সে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেচ্ছায় অবসর নিয়েছে। বর্তমানে সে তার সামরিক প্রশিক্ষণের শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে ওই ভাটায়।
ফলে রইচ উদ্দিন খান ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিলে তিনি মৌখিক শালিস করে দেন।তিনি শালিসে উল্লেখ্য করেন যেহেতু এই ইট ভাটার মালিকানা অর্ধাঅর্ধি সুতরাং প্রতিটি ইটের বিক্রির টাকা সমান ২ ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রথমে নাসির উদ্দিন মেনে নিলেও পরে আর ওই শালিস না মেনে একাই ইট বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করতে থাকে। যদিও পুনরায় চেয়ারম্যান কে বলা হলে তিনি অপারগতা যানান।এবং তিনি বলেন নাসির উদ্দিন আমার কথা না মানলে আমি কি করবো, আমি এই শালিস করতে পারবো না।
সরেজমিনে গিয়ে রইচ উদ্দিন খান এর ম্যানেজার ইমরান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই ভাটার দুই মালিকের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে।এমনকি নাসির উদ্দিন আমার মালিক রইচ উদ্দিন কে ভাটায় প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করলে বিভিন্ন ভাটা মালিকরা বসে সাময়িক ভাবে বলে বর্তমানে ভাটায় যে ইট আছে সেগুলো বিক্রি করে সমান দুই ভাগে ভাগ করে নিতে তবে গত (২৭ জুন) থেকে নাসির উদ্দিন কোন টাকা দিচ্ছে না।এ অব্দি প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার ইট বিক্রি হয়ে এমনকি বর্তমানে প্রায় ৫৫ লক্ষ ইট ভাটায় আছে।
ইট ভাটার মালিকদের উপস্তিতি যে মৌখিক শালিস হয় সেখানে উপস্থিত থাকা সামিম মাহামুদ বলেন, এই ভাটা নাসির উদ্দিন কিনে নিতে চান রইচ উদ্দিন এর থেকে তবে রইচ উদ্দিন বিক্রি করতে রাজি হন নাই।পরে কয়েক জন ইট ভাটা মালিক নাসির উদ্দিন কে ৫৫ লক্ষ টাকা এবং ভাটায় থাকা ইটের বিক্রির অর্ধেক রইচ উদ্দিন কে দিতে বলেন, পরে রাজি হন রইচ। তবে নাসির উদ্দিন ৫৫ লক্ষ টাকা দিতে না চাইলে রইচ উদ্দিন নাসির উদ্দিন কে ৫৭ লক্ষ টাকা নিয়ে তার কাছে মালিকা বিক্রি করতে বলে।পরে আর মালিকা বিক্রি কেউ করে নাই।
এ বিষয়ে রইচ উদ্দিন বলেন, নাসির উদ্দিন এর সাথে চুক্তি পত্রের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। তবে এখন সে আমার ভাগের টাকা দিচ্ছে না এমনকি টাকা চাইতে গেলে আমার ম্যানেজার সহ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি সন্ত্রাসী কার্যকালাপের মাধ্যমে আমাকে ইট ভাটায় প্রবেশে বাধা প্রদান করে। বর্তমানে আমার অর্ধেক অংশে খরচ বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ও চলতি অর্থবছরে ইট বাবদ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে।
ইট ভাটার অপর মালিক নাসির উদ্দিন বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার বড় বড় নেতাদের মাধ্যমে একটা শালিস হয়েছে। আর আপনার কাছে আমি কৈফিয়ত দিতে রাজি নই। সে সময় সাংবাদিকের সামনেই ম্যানেজার কে হুমকি দেন নাসির ও তার ভাইয়েরা।
ওই সময় শালিসে থাকা বাচ্ছু চেয়ারম্যানের সাথে ইট ভাটার শালিসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনি কে, তবে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি সাথে সাথে ফোন কেটে দেন।
 
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, দুই পাটনারের মধ্যে কথার ও টাকার ব্যবধান অনেক থাকায় তাদেরকে কোটের মাধ্যমে সমাধান করে আসতে বলেছি। 


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share