সোনাই নিউজ:হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধনের প্রায় ৮ বছর পার হলেও চালু হয়নি অপারেশন কার্যক্রম। অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি বছরের পর বছর বাক্সবন্দি অবস্থায় তালাবন্ধ কক্ষে পড়ে থাকলেও এনেসথিসিয়া ও সার্জারি জুনিয়র কনসালটেন্ট না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। ফলে প্রতিনিয়ত গর্ভবতী মায়েদের সিজার সুবিধা সহ রোগীরা সার্জারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উন্নীত করা হলেও চিকিৎসকসহ নানা সংকট থাকায় উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলাবাসী।
উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা এএইচএএম ইশতিয়াক মামুন বলেন, অপারেশন থিয়েটারটি চালু করতে হলে এনেসথিসিয়া ও জুনিয়র কনসালটেন্ট প্রয়োজন। এ দুটি পদ শুন্য থাকায় ওটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ.হ.ম রুহুল হক মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। প্রায় ৭ বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও স্বাস্থ্য সেবার তেমন উন্নতি হয়নি এখনও। চিকিৎসক সংকট লেগে আছে শুরু থেকেই। হাসপাতালে ১০ জন অনুমোদিত জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ থাকলেও অধিকাংশ পদই রয়েছে শূন্য।
বর্তমানে শিশু, দন্ত ও কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট রয়েছে। তবে এরমধ্যে কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট দিলীপ সরকারকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় সপ্তাহে ২ থেকে তিন দিনের বেশি তিনি সময় দিতে পারছেন না মাধবপুর হাসপাতালে।
হাসপাতালে অর্থপেটিক ইএনটি চর্ম ও যৌন, সার্জারি, গাইনী,এনেসথিশিয়া জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ খালি রয়েছে বছরের পর বছর ধরে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার সহ ১২ জন মেডিকেল অফিসার কর্মরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৬ জন। দীর্ঘদিন থেকে বিকল পড়ে আছে এক্সরে মেশিন, প্যাথলজি পরীক্ষাও হয় নামে মাত্র।
উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা এএইচএএম ইশতিয়াক মামুন বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। জনবল
সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যেই এর সুফল পাওয়া যাবে।