বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ১০ টাকা চাউলের কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম আদর আলী শেখ। তিনি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য।
মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের ভিক্ষুক শুকুরন বেগম বলেন, তাকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর প্রদানের আশ্বাসে ১০ হাজার টাকা নেয় ইউপি সদস্য আদর আলী শেখ। পরে ২ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। নওপাড়া গ্রামের রোজিনা ওরফে সুজিন বলেন, আমাকে ঘর প্রদানের আশ্বাসে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। আমেনা বেগম বলেন, ১০ টাকা কেজির নতুন কার্ডের জন্য ৩০০ টাকা করে নেয়। নতুন কার্ড দেওয়ার কথা বলে কার্ড নিলেও ফেরত না দিয়ে উল্টো চাল আনতে গেলে পুলিশের ভয় দেখায়। নওপাড়ার রাশিদা বেগম, তার কাছ থেকেও নতুন কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৩০০ টাকা নিয়েছে। চরনওপাড়া গ্রামের ফাহিমা বেগম বলেন, জোড় করে চাউলের কার্ডের জন্য ৩০০ টাকা করে নেয়। পুরাতন কার্ড বাতিল করে নতুন কার্ডের জন্য এ টাকা নেয়। হযরত আলীর নিকট থেকেও একই কায়দায় ৩০০ টাকা নিয়েছেন।
নাজমিন বেগমের নিকট থেকেও কার্ডের কথা বলে নিয়েছেন ৩শত টাকা। রাপা বেগমের নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের কথা বলে নিয়েছেন ৮ হাজার টাকা, তার শশুর মোমিন মোল্যার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য নিয়েছেন ৩ হাজার টাকা। সালমা বেগমকে নতুন কার্ড দেওয়ার কথা বলে নিয়েছেন ৩শত টাকা আর প্রথম পর্যায়ে কার্ড দিয়ে নিয়েছেন ২ হাজার টাকা। টাকা ছাড়া কোন কাজ করে না এ ইউপি সদস্য আদর আলী শেখ বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
ভুক্তভোগীদের ভিডিও সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগের বিষয়ে গাজনা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আদর আলী শেখ সবই মিথ্যা ও শত্রুতা বশতঃ বলে দাবী করেন।