পাকিস্তান ও ভারত উভয়ের জঙ্গি বিমান ভূপাতিত হওয়ার পর কাশ্মীর ঘিরে দুপক্ষেই যখন যুদ্ধের সাজ সাজ রব, তখনই শান্তির আহ্বান জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আলোচনার আহ্বান জানিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উত্তেজনা কমাতে ‘শুভ বুদ্ধির’ উদয় হবে বলেই তিনি আশাবাদী।
তিনি বলেন, “ইতিহাস বলে আমরা একে অপরের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। এখন আমার প্রশ্ন, দুপক্ষের হাতেই যে অস্ত্র রয়েছে তাতে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা কি নিজেদের অন্ধকারে রাখতে পারি? তার চেয়ে বরং আমরা বসি এবং আলোচনা করি।”
তবে ইমরান খান তার বক্তব্যে প্রচ্ছন্নভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের কথা ইঙ্গিত করলেও সরাসরি তার নাম মুখে আনেননি।
ইমরান খানের এই বক্তব্যের আগে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। ভারতকে বুঝতে হবে যে, যুদ্ধ হল নীতিগত ব্যর্থতা।
ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে জয়শ-ই-মোহাম্মদের এক জঙ্গির আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা শুরু হয় আজ বুধবারে এসে তা দুই দেশের জঙ্গি বিমান ভূপাতিত হওয়ায় এসে গড়িয়েছে। দুই দেশই দাবি করেছে, তারা প্রতিপক্ষের জঙ্গি বিমান গুলি করে মাটিতে নামিয়েছে। ভারত সরকারিভাবে তাদের একটি মিগ-২১ বিধ্বস্ত হওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতের দুজন পাইলটকে জীবিত অবস্থায় আটক করেছে।
জয়শ-ই-মোহাম্মদের হামলার জবাবে ভারতীয় বিমান বাহিনী কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে পাকিস্তানের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে বিমান হামলা চালানোর পর যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছে দুই দেশের সামরিক বাহিনী।