বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
বাঘায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,থানায় মামলা ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী কাউন্সিলর সাহেব আলীর শাস্তি চায় এলাকাবাসি মানবিক বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে পাসের হার ৮১.২৪, জিপিএ-৫ বেড়ে দ্বিগুণ বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে লাশ উত্তোলন নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত দুই বিয়াই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা তাজ খান নাঈমের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট বিরামপুরে শহিদ পরিবারের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নবাবগঞ্জে
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স ড্রাইভার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ

প্রতিবেদকের নাম / ১৯০
নিউজ আপঃ রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ৪:০০ অপরাহ্ন

ব্যুরো  প্রধানঃ
গ্রামে বেড়ে ওঠা ছেলেটি অন্যের বাড়িতে থাকতো। পরিবারের দারিদ্র্যতার কারনে তেমন লিখাপড়া জোটেনি ভাগ্যে। রোজগারের জন্য অল্প বয়সেই তাকে নেমে পড়তে হয় কাজে। ছোটবেলা কাটে তার ট্রাকের হেলপারি করে। বেড়ালের ভাগ্যে যেমন সিকে ছেড়ে, তেমনই অল্প শিক্ষিত সেই ছেলেটির ভাগ্য যায় বদলে। ঠিক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেযাওয়ার মতো।  এক সময়ে নুন আনতে পানতা ফুরানো ট্রাকের হেলপার আলিম (৪৫)।
সচিবের বাড়ির কাজের মেয়েকে বিয়ে করে বদলে যায় তার জীবন। কোন মতে  ৮ম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেট জোগাড় করে, পেয়ে যান চাকরি। হয়ে যান সরকারি হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার। বর্তমানে তিনি পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত আছেন। আলিমের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর থানার দাড়িয়াপুর গ্রামে। সংসার জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। মাত্র ১৭ বছরের চাকরি জীবনে আলিম তার ছেলে-মেয়েকে পড়িয়েছেন নামি দামি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বর্তমানে ড্রাইভার আলিমের কাশিনাথপুর সদরে ৫তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মানাধীন চলছে। এছাড়াও তিনি প্রতি শতক এক লক্ষ টাকা মূল্যে ৭-৮ বিঘা জমি ক্রয় করেছে। আরও রয়েছে একটি বড় ১০চাকার ট্রাক (লরি), মাটিকাটার যন্র গাড়ি(ভেকু)। আলিম ড্রাইভার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এক কার্মচারীর সাথে শেয়ারে নকিব উদ্দিন হাসপাতালের একটি পুরাতন এম্বুলেন্স ক্রয় করেন।  সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর লোকজন বলেন, হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার কে জরুরী মূহুর্তে কল করে পাওয়া যায় না। কল রিসিভ না করে মোবাইল বন্ধ করে রাখে। এতে করে বাধ্য হয়ে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট এম্বুলেন্স নিয়ে যেতে হয় পাবনা সদর হাসপাতালে।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়,তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে প্রাইভেট এম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্ত্বরে রাখেন এবং হাসপাতালে থাকা সত্ত্বেও মোবাইল বন্ধ রাখেন কারন প্রতিটি এম্বুলেন্স থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সরদার মোহাম্মদ মিলন মাহমুদ বলেন, আমি শুনেছি ও জানি আলিমের সম্পদের বিষয় প্রায় ঠিক । সে কোন কমান্ড মানে না  নিজের মন মত চলে । আলিম একজন এম্বুলেন্স ড্রাইভার কিন্তু সে রোগী না নিয়ে বাহিরে ভাড়া খাটায়।  তবে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে আলিম তার বিরুদ্ধে সকল তথ্য মিথ্যা বলে দাবি করেন।
বিস্তারিত আরও পরবর্তী পর্বে প্রকাশ করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share