মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ মহামারী করোনার হাত থেকে মুক্তি পেতে বিশ্ববাসী এখন সোচ্চার। প্রতিটি দেশ দেশের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। সারা বিশ্বের নাই করো না আতংকে ভুগছে আমাদের দেশের মানুষ। বাংলাদেশ সরকারের বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে জেলা-উপজেলার প্রশাসন দপ্তরে জনসচেতন মূলক প্রচার মাইকিং সহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সকল নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ শক্তিশালী বাহিনীর সেনা সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট এর তত্ত্বাবধানে এ সকল নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে বলে সরকার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।গতকাল
বুধবার(২৫ শে মার্চ) সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিভিন্ন সচেতনামূলক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনীদের কে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটে এর নির্দেশ মোতাবেক নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২ পর্যন্ত ব্যাংকিং সুবিধা চালু রেখে অন্যান্য সকল অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র ডাক্তার-খানা ওষুধের দোকান ক্লিনিক এবং হাসপাতাল ব্যতীত বাজার এলাকার প্রত্যেকটি দোকানপাট এমনকি চায়ের দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একের অধিক একত্রে চলাফেরা করা যাবেনা ইত্যাদি নির্দেশনা দিয়ে উপজেলা প্রশাসন কাজ করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৬ শে মার্চ) দেখা গেল শার্শা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরীর সেরকম একটি কার্যক্রম। সেনাবাহিনী সহ সরকারের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে তিনি আজ সকালে বেনাপোল বাজার পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন শেষে ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, এখানে ভয়ের কিছু নেই, করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা জননিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে। এ সকল কাজে জনসাধারণের সহযোগিতা একান্তই কাম্য, তা না হলে এ রোগ থেকে কিছুতেই পরিত্রান পাওয়া যাবে না।