বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসে ডিউটিরত আনসার সদস্যরা। একাধিক অভিযোগে জানা গেছে, স্কানিং মেশিনের পাশে এবং বহির্গমন এর পাসপোর্ট এর ট্যাক্স আছে কিনা কাস্টমস সিপাইদের পাশাপাশি আনসার সদস্য দায়িত্বে থেকে পাসপোর্টযাত্রীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি করছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ট্যাক্স এর কাগজ আনছার সদস্য ও একটি বেসরকারী গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরীদের দেখিয়ে স্কানিং মেশিনের পাশে দাঁড়িয়ে আনসার সদস্যরা আবার পাসপোর্ট হাতে নিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের নানাবিধ প্রশ্ন ছোড়ে। এরপর এক পর্যায় তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। অনেকে ধমক দেয় এই বেটা কিসের টাকা। আবার অনেকে দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা না বুঝে তাদের হাতে টাকা গুজে দেয়। এটা হচ্ছে বেনাপোল কাস্টমস নিয়োজিত আনসার সদস্যদের প্রথম ধাপের চাঁদাবাজি।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে আনছার সদস্যদের দ্বারা ইমিগেশন এর সিল শেষে ভারত প্রবেশের সময় পাসপোর্টযাত্রীরা বাধার সৃষ্টি হয়। সেখানে ঐ একই ধরনের প্রশ্ন । ভারতে কেন যাবেন? এত ঘন ঘন কিসের জন্য আপনার ল্যাগেজে কি আছে অহেতুক প্রশ্ন করে শেষ পর্যান্ত চাঁদা দাবি করে। আনছার সদস্যদের এ চাঁদার টাকা একাধিক লোকের অভিযোগ ছাড়াও স্বচক্ষে নিতে দেখা গেছে একাধিক বার।
ঢাকার পাসপোর্টযাত্রী অনিমা ঘোষ শুক্রবার সকালে কাস্টমস এর ভিতর এ প্রতিনিধিকে বলে আমরা তো চোরাইপথে ভারত যাচ্ছি না। তবে কেন আনছার সদস্যরা আমাদের নিকট টাকা দাবি করছে? কাস্টমস এর স্কানিং মেশিনের পাশে এবং বহির্গমন গেটে ১ জন কাস্টমস সিপাইর পাশিাপাশি দুই তিনজন আনছার সদস্য ডিউটি করে।
বেনাপোল চেকপোষ্টের কাস্টমে নিয়োজিত আনছার সদস্য রমজান, দবির মিয়া, হিরো, শরিফুল চাদাবাজিতে বেপরোয়া বলে একাধিক অভিযোগ। এছাড়া এদের চাদাবাজির টাকা নেওয়ার ভিডিও রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে।
এছাড়াও দেখা গেছে বেনাপোল চেকপোষ্টে কিছু ঘরে ঘরে যেয়ে আনছার সদস্যরা চাঁদা তোলে। একপর্যায় জানা গেলো এরা ইমিগ্রেশন এর ভিতর ঐ সব ঘরের লোকদের প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করে না তার জন্য এই চাদা আদায় করে।
এ ব্যাপারে কাস্টমস এর জনৈক নেম প্লেড বিহীন একজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমিতো জানি না তবে যখন শুনেছি বিষয়টি দেখব।
বেনাপোল কাস্টমসে নিয়োজিত আনছার সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন , আমি এটা যাতে না হয় সে বেপারে পদক্ষেপ নিব।