বাড়ীতে রাখা এক বালতি পানিতে চাঁদ, তারা ও মহান আল্লাহ তায়ালার নাম লেখা দেখা গেলো পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায়। বীরভূমের ইলামবাজার থেকে ছয় কিমি দূরে ঘুড়িষা গ্রামের শ্রীপুর পাড়ার ঘটনা।
জানা যায় গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি সেখ আজিজুল সোমবার রাতে তার বাড়ীর বারান্দায় প্রতিদিনের মতো একটি ষ্টীলের বালতিতে রাখা ছিলো এক বালতি পানি। সেই পানি ঢাকাও রাখা ছিলো। সকালে ঘুম থেকে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ী এসে তার স্ত্রী বালতির পানি ব্যাবহার করতে গিয়ে দেখেন সেই পানিতে সাদা রঙের চাঁদ ও তারার ছবি। সেখানেই আরবী ভাষায় লেখা মহান রাব্বুল আলআমিন আল্লাহর নাম। মঙ্গলবার সকালে এই খবর প্রচারিত হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্হানীয় মাদ্রাসা আহমাদিয়া হানাফিয়ার প্রধান শিক্ষক এমডি শাহাবুল্লা সাহেব কে ডেকে নিয়ে যান। তিনিও দেখেন সত্যিই বালতির পানিতে সাদা আস্তরন। সুনিপুন ভাবে চাঁদ ও সূর্যের প্রতিচ্ছবি। এবং কাছ থেকে খেয়াল করলে দেখা যাচ্ছে, আরবী হরফে মহান করুনাময় সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার নাম।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই খবর প্রচারিত হবার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তার বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেলো ছোট্ট সাজানো গোছানো ঘড়ে স্হানীয় মানুষজনের ব্যাপক ভীড়। প্রচুর মানুষ আসছেন সেই ছবি। মৌলনা এমডি শাহাবুল্লা সাহেব বলেন, আল্লাহ তায়ালা অসীম ক্ষমতার অধিকারী। তিনি চাইলেই তার নাম যেখানে সেখানে লিখে দিয়ে আমাদের দেখাতে পারেন। এটা তারই একটা ঘটনা মাত্র। এই ঘটনার পর থেকেই শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা সেখ আজিজুলের বাড়ীতে এখন দাঁড়াবার জায়গা নেই। তিনি বলেন, আমি সাধারন মানুষ। মহান করুনাময় আল্লাহ তায়ালার এই কুদরতি ক্ষমতা আমার ঘড়ে দেখা গেলো। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।