অজিদের ঐতিহাসিক সফরে শেষ ম্যাচের শেষ দিনের বাজে পারফরম্যান্সে টেস্ট সিরিজে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ওয়ানডে সিরিজে ঘটেছে তার উল্টোটা। প্রথম ওয়ানডেতে সহজে হারার পর পরের দুটি ম্যাচে দারুণ জয়। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪১.৫ ওভারে ২১০ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৭৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় বাবর আজমের দল।
এদিন পাকিস্তানের জয়ে ভিতটা মূলত গড়ে দিয়েছেন বোলাররাই। এরপর সেখানে ইমারত গড়েন ব্যাটাররা। অধিনায়ক বাবর আজমই ব্যাটেই সহজ জয় মিলে দলটির। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ওপেনার ইমাম-উল-হক।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২৪ রানে ওপেনার ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। এরপর আরেক ওপেনার ইমামের সঙ্গে দলের হাল ধরেন বাবর। অবিচ্ছিন্ন ১৯০ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটার।
টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ১৬তম সেঞ্চুরি। ১১৫ বলে হার না মানা ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। নিজের ইনিংসটি ১২টি চারের সাহায্যে করেছেন তিনি। দারুণ খেলেছেন ইমামও। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন তিনিও। ১০০ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পাকিস্তানি পেসারদের তোপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না যোগ করতেই অজিদের দুই ওপেনারকে ফেরায় তারা। এরপর ছন্দে থাকা মার্নাস লাবুসেনকেও ফেরান ব্যক্তিগত ৪ রানে। তাতে শুরুতেই বড় চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা।
এরপর তৃতীয় উইকেটে মার্কাস স্টয়ানিসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বেন ম্যাকডেরমট। গড়েন ৫৩ রানের জুটি। এরপর ৮ রানে ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে অজিদের ফের চাপে ফেলে দেয় পাকিস্তান।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে ক্যামেরুন গ্রিনকে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন আলেক্স ক্যারি। স্কোরবোর্ডে ৮১ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। শেষ দিকে অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন শেন অ্যাবট। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি মিলে দলটির।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারি। ৬১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৪০ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন অ্যাবট। ৪৭ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ রান আসে গ্রিনের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের পক্ষে ৩৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন হারিস রউফ। ৪০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিমও। ২টি শিকার শাহিন শাহ আফ্রিদির।