
প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৩, ২০২৫, ৯:৩০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৯, ২০২০, ১২:১০ পি.এম
বাঘায় মিথ্যা মামলার আসামী ওয়ান্টেড রাব্বি

বাঘা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলা করলেন ভুলে ওয়ান্টেড রাব্বির নামে। পূর্ব পরিচিত রাব্বি নামের এক যুবকের সাথে কলেজ ছাত্রীর প্রথমে প্রেম পরে ধর্ষণ। প্রতারণায় পড়ে ধর্ষিত হয়েছে বলে কলেজছাত্রী বিচারের আশায় ঘুরেছেন নেতা ও থানার দ্বারে দ্বারে। অবশেষে গত সোমবার(২৩ নভেম্বর) রাতে মনিগ্রামে ইউপির তুশীপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম ছেলে শাকিব হাসানের বাড়ীতে আসে মেয়েটি। রাজশাহী সরকারী কলেজে পড়ার সুবাদে রাব্বির সাথে পরিচয় ঘটে। রাব্বির বন্ধু শাকিবের সাথে পরিচিত করে দেয় মেয়েটিকে। শাকিবের বাড়ীতে কথা কাটাকাটি হলে অনেক স্থানীয় লোকজন জমা হয়।
ঐ দিন সোমবার রাতে উপস্থিত লোকজনের পক্ষ থেকে ভূক্তভোগী ছাত্রীকে জানানো হয় পুলিশ আসছে। কিন্তু পুলিশ পরিচয়ে ২জন যুবক উপস্থিত হয় ঘটনার স্থলে। মেয়েটিকে জোরপূর্বক ২জন যুবক পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে উপজেলার নারায়নপুর এলাকায় একটি বাড়ীতে পৌছিয়ে তারা পালিয়ে যায় মোটরবাইক রেখেই।বাঘা থানা পুলিশ নারায়নপুর ঐ বাড়ী হতে কলেজছাত্রী কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে জানায় ভৃক্তভোগী।
ভূক্তভোগি ধর্ষিত কলেজছাত্রী (বাদী) সংবাদপ্রতিবেদককে জানান, রাব্বি বাঘা পেট্রোল পাম্প এর দক্ষিনে ২য় তলা একটি বাড়ী। রাব্বির বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত আর্মি। বাদী আরও জানায়,নারায়নপুর হতে পুলিশের ২টি গাড়ী গিয়ে আমাকে থানায় নিয়ে যায়।সে সময় থানার মধ্যে আমাকে জিঙ্গাসা করে,কে কে আমাকে নস্ট করে।আমি বার বার বলি রাব্বি পিতা আজদার(অবঃ আর্মি)। তখন একজন আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়ে পুলিশ অফিসারদের লিখতে বলেন,রাব্বি পিতা ভ্যাগল।আমি তো এই রাব্বি কে চিনি না,তখন আমাকে তারা বাবার নাম ভুল করে লিখতে বাধ্য করেন।ঐ আওয়ামীলীগ নেতা আমাকে বলে,তুমি চুপ থাকো, বাঘা এলাকা লোকদের আমি চিনি জানি রাব্বির বাবার নাম ভ্যাগল। মেয়েটি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানায়,গত প্রায় ২মাস পূর্বে বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র পিন্টুর অফিসেও গিয়েছিল,ধর্ষণের বিচার পাওয়ার আশায়।পিন্টু সে সময় আমাকে থানায় গিয়ে জানাতে বলেছিলেন।পৌরসভায় থাকা অবস্থায় রাব্বির খালা(ফিরোজা) আমাকে বিভিন্ন কথা বলে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন,ফারজানা ইয়াসমিন নামে এক কলেজ ছাত্রী দেড়-দুমাস আগে আমার অফিসে এসেছিল ধর্ষণের বিচার দাবিতে,আমি তাকে থানায় যাওয়ার কথা বলি।
এ বিষয়ে বাঘা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)নজরুল ইসলাম বলেন,নারায়ণপুর এলাকার একটি দোকানের পাশ থেকে একটি মোটর সাইকেল ও ফারজানা ইয়াসমিন নামের মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি।রাব্বি নামে একজন এই মামলায় জড়িত আছে।তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত রাব্বির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Copyright © 2025 News All Time 24. All rights reserved.