গ্রীষ্মকাল এলেই রাজশাহীর গ্রাম অঞ্চলের তরুণ যুবকদের মাঝে ঘুড়ি উড়ানোর ধুম পড়ে যায় । মূলত তারা সখের বসেই এ সকল ঘুড়ি উড়ান। এ সময় বিকেল হলেই গ্রামের আকাশে উড়তে দেখা যায় লাল,নীল,হলুদ,কমলা সহ হরেক রকমের ঘুড়ি।
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি বড় বাঁধা হলো “ঘুড়ি”। বাঘা উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার এর অধিক বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। প্রতিনিয়ত এই লাইনের কোথাও না কোথাও ঘুড়ি বেধে লাইন বন্ধ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় যখন ৩৩ কেভি সোর্স লাইনে ঘুড়ি পরে গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র গতকালই বাঘা থেকে কাটাখালি পর্যন্ত ৩৩ কেভি সোর্স লাইনে ৯ টি স্পটে ঘুড়ি পাওয়া যায় এবং অনেক স্থানে সুতা জড়ানো পাওয়া যায়। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইতঃপূর্বে মাইকিং করা হলেও পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। বাঘা জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পক্ষ হতে উপজেলার পৌরসভাসহ হলদিগাছি-বেলপুকুর এলাকার সকল পরিবারে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির লিফলেট বিতরণ সহ মাইকিং করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভ্রাট কমাতে আমাদের সবার সচেতনতা অনেক বেশি জরুরি।
এ বিষয়ে বাঘা জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সুবীর কুমার দত্ত বলেন, এই করোনা কালেও অনেক ছেলে মানুষ ও বাচ্চারা গ্রীষ্ম মৌসুমে অনেক ঘূড়ি উড়াই। এই ঘূড়িতে বিভিন্ন প্রকার বৈদ্যুতিক ছোট বাল্ব ইলেকট্রিক তার চার্জার ব্যাটারীসহ কয়েকটি উপকরন দিয়ে ঘূড়ি তৈরী করে উড়াতে দেখা যাচ্ছে।আর এই বাল্ব ইলেকট্রিক তার ও ব্যাটারীসহ ঘূড়ি ৩৩ কেভি সোর্স লাইনে লাগা মাত্র অটো বিদ্যুৎ লাইন বন্দ হয়ে যাবে। অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ সরবরাহে অটো মেশিন ৩৩কেভি সোর্স লাইনে কোথাও কোন দূর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথে লাইন বন্দ হয়ে যায়।এই ঘূড়ি নিয়ে লাইনে সমস্যার জন্য আমরা ইতি মধ্যে ডিসি স্যার সহ উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা করেছি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে। আমি বাঘা জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ফেসবুক ওয়ালে এই ঘূড়ি উড়ানো নিয়ে জনসাধারণ সর্তকিকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি।
এই বিভাগের আরও খবর....