রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার রুস্তমপুর এলাকায় আজিবর রহমান নামে এক যুবলীগ নেতাকে মঙ্গলবার(৯.২.২১) সকালে দুস্কৃতিকারীরা মারপিট করে তার পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এ ঘটনায় আজিবরের স্ত্রী বাদী হয়ে একই দিন ১১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বাঘা থানা পুলিশ রাতে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনা স্থলে না থেকেও প্রধান আসামী হয়েছেন আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী।
মামলার বাদী আজিবরের স্ত্রী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ জানুয়ারী আড়ানী পৌর নির্বাচনে তাঁর স্বামী ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আজিবর রহমান নৌকার পক্ষে ভোট করায় আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীর কর্মী সমর্থকরা মঙ্গলবার(৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টার সময় তার স্বামীকে একটি ফাঁকা জায়গায় একা পেয়ে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করা-সহ তার ডান-পা ভেঙ্গে দিয়েছে।
আর এ ঘটনায় মেয়র মুক্তার আলীকে প্রধান আসামী করে ১১ জননের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন আজিবরের স্ত্রী নাজমা বেগম। বর্তমানে আজিবর রহমান রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ মামলায় পুলিশ ঐ রাতে ৩ জন আসামী’কে গ্রেফতার করেছেন। তারা হলেন-রুস্তমপুর গ্রামের ভুলা ওরফে টগর (৩৭) আব্দুল আল মামুন (৩৫) ও সজিব হোসেন (২৮)। তবে আব্দুল আল মামুনের পিতা রমজান আলী জানান, ঘটনার সময় তার ছেলে অন্য একটি মামলার হাজীরা দিতে রাজশাহী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র মুক্তার আলী বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, শাহিদুজ্জামান শাহীদ ভোটের মধ্যে তার নির্বাচনী প্রচারনার জন্য যাকে যাকে কর্মী খরচ দিয়েছিল, তাদের থেকে এখন জোর জবরদস্তী ও মারধর করে টাকা আদায় করছে। এভাবে আমার পৌরসভার মধ্যে আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখাচ্ছে। তার প্রমাণ আড়ানী চকরপাড়া ৪ নং ওয়ার্ড গ্রামের নান্টু মাষ্টার,পিতা মজিবর মাষ্টার। তার কাছ থেকে আজকে জোর যবরদস্তী করে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছে। তার প্রমাণ ও অনেক রয়েছে। জনগণ ও মানবতার সার্থে এই জুলুম বন্ধ করা হোক।এই রেশ ধরে শাহীদ আজিবরকেও টাকা দিয়েছিলো, পরে আজিবর টাকা ফেরত দিতে না পারাই তাকে শাহীদের লোকজন তাকে মারধর করেছে। মেয়র মুক্তার আলী আরও বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারী আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এই নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি এ ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানিনা, পরে লোক মুখে শুনেছি আজিবরকে ফাকা জায়গায় একা পেয়ে কে-বা কাহারা মারপিট করেছে । দুঃখের বিষয় আমি ঘটনাস্থলে না থাকার পরেও এ মামলায় আমাকে প্রধান আসামী করেছে। আমার পক্ষের আরো ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে
ভোটের সময় টাকা ভাগাভাগির রেশ কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন এলাকাবাসী।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত আব্দুল বারী বলেন, দুস্কর্মের সাথে ঘটনা স্থলে না থেকেও সহযোগীতা থাকায় যে কেউ আসামী হতে পারে। তিনি বলেন, এ মামলায় রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীদের বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর....