রাজশাহীর বাঘায় কচু খেতে ঘাস কাটার অপরাধে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাউসা এলাকার হেদাতিপাড়া গ্রামে। আহত গৃহবধু নারজিনা বেগম (৩০) বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান নারজিনার স্বামী শহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় সালাম শেখের ছেলে কামরুলে বিরুদ্বে ওই গৃহবধু বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বুধবার (১৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে গৃহবধূ নারজিনা তার বাড়ির পাশের্ব কাচারিপাড়ায় কামরুলের কচু খেতে ঘাস কাটছিল। এসময় জমির মালিক কামরুল এসে ক্ষিপ্ত হয়ে নারজিনাকে গালিগালাজ করার একপযার্য়ে এলোপতাড়ি মারপিট করে এবং হাসুয়া দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় ভুক্তভোগির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্ত কামরুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান তার স্বামী শহীদুল। অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাকে গালিগালাজ করেছি কিন্তু পিটিয়ে জখম করি নাই। এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান শফিক বলেন, ইতি পুর্বেও একাধিকবার কামরুলের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। এ ঘটনায় যেহেতু থানায় অভিযোগ হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভুক্তভোগি যেন ন্যায় বিচার পায়। এ ঘটনায় নারজিনা বেগম বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাঘা থানা কর্তব্যরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিভাগের আরও খবর....