মাধবপুর প্রতিনিধি।।হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগান ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ২০ নং এলাকায় ফিলিপ কর্মকারকে টাকার জন্য এলাকার চিহিত চোরাকারবারিরা তাকে খুন করেছে । এমন অভিযোগ করে আসছেন নিহত ফিলিপের পরিবার।
ফিলিপের হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তারা ২০ নং সীমান্তের ত্রাস ও চিহিত মাদক চোরাকারবারি। তাদের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দরা আতংকে দিন কাটায়। মূলত ফিলিপের স্ত্রী চিকিৎসার ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিতেই ফিলিপকে পরিকল্পপিতভাবে হত্যা করেছে চিহিত গ্রুপটি।
নিহত ফিলিপের শ্বশুর চিন্তন তন্তবাই অভিযোগ করে বলেন তার গর্ভবতী মেয়ে ফিলিপের স্ত্রী চিকিৎসার জন্য জামাতা ফিলিপকে গত ৮ আগস্ট সকালে ৫০ হাজার টাকা দেন। টাকা দেওয়ার ঘটনাটি ওই এলাকার চিহিত চোরাকারবারি ত্রাস গ্যাং টি জেনে যায় । টাকা নেওয়ার মতলবে ওই দিন দুপুরে ফিলিপকে নিয়ে গ্যাং দলের এক সদস্যর বাড়িতে মদের আসর বসানো হয়।
এর পর ৮ আগস্ট ওই রাতে ২০ নং ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা কচু বাড়ি নামক স্থানে ফিলিপকে চিহ্নিত ত্রাস গ্রুপটি পিটিয়ে হত্যা করে তার কাজ থেকে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পরে ওই দিন রাতেই ফিলিপের মরদেহ তার বাড়ির সামনে কোন রকমে ঝুলিয়ে রেখে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ওই গ্রুপের কেউ ফিলিপকে দেখতে আসেনি । অনেকেই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে।
ফিলিপের পরিবারের দাবি ওই চিহিক গ্রুপটিকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফিলিপ হত্যার রহস্য খুব সহজেই উন্মেচিত হবে।
ফিলিপের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রাকিবুল হাসান বলেন, সব কিছু মাথায় রেখে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে ।
ময়নাতদন্তে ডাক্তারী প্রতিবেদন পেলে মামলা তদন্তে আরো সহজ হবে।