সাভার প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় “সাভারের দখলরাজ, ব্লাক ডায়মন্ড শাহাদাৎ” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন খান। তিনি এক প্রতিবাদ লিপিতে জানান, প্রকাশিত সংবাদের সম্পূর্ণ তথ্যই ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মনগড়া এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা শুধু আমাকে হেয় করার জন্যই প্রকাশিত হয়েছে। এসব বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করে তার উত্তর নেয়া বা এ ধরনের সংবাদের জন্য আমার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, মানিকগঞ্জে আমার একটি বাগান বাড়ি রয়েছে যা প্রায় ১৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। মানিকগঞ্জে আমার শ্বশুর বাড়ি হওয়ার সুবাদে সেখানে বাড়িটি আমি নির্মান করি। যার পরিমান ১২ বিঘা। আশুলিয়ার বাইপাইলে সিটি সেন্টারে আমার কোন জমি নেই। সেখানে আমার ভাড়া একটি অফিস রয়েছে। কিন্তু সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ভুল তথ্য। বলা হয়েছে সিটি সেন্টারে আমার জমি রয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বরিশালে আমার ৬০বিঘা জমির উপর মৎস্য খামার রয়েছে বাস্তবে তা কল্পনাপ্রসূত। আশুলিয়া, ঢাকার উত্তরা, টাঙ্গাইলে আমার নামে ব্যাংক একাউন্টে শত শত কোটি টাকা রয়েছে বলে সংবাদে মিথ্যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এম,এ মতিনের বাড়ি দখলের কথা সংবাদে বলা হলেও তিনিই আমার বাড়ি দখল করেন এবং আমি এ ব্যাপারে মামলা করি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়েছিল। যা সকলেই অবগত আছে। গাজিরচট এ.এম স্কুল এন্ড কলেজের আমি দাতা সদস্য। এখানে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটি দেখে থাকেন। কিন্তু সংবাদে বলা হয়েছে আমি শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য করেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার সাথে বিএনপি জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সংবাদে অপ-প্রচার করা হয়েছে। অথচ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের জন্য আমার জীবন বিসর্জন দিয়েছি এবং এখনও দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে আসছি। দলের দুর্দিনের সাথী হিসেবে আমি সকলেরই প্রিয় মানুষ হয়ে সুনামের সাথে কাজ করে আসছি। যে কারণেই সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগে আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে সম্মাণিত করা হয়েছে। আমি সাভার উপজেলা পরিষদের বিপুল ভোটে নির্বাচিত একজন ভাইস চেয়ারম্যান। ২০১০ সালের ৩০ জুন আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের হলে আদালত আমাকে খালাস প্রদান করেন এবং যিনি মিথ্যা মামলাটি করেছেন তার বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় উল্টো মামলা দায়ের হয়। মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে বাদীর এক বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জমিরামা হয়। এ ব্যাপারটিও অতিরঞ্জিত করে সংবাদে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে। যে কারণে ‘দৈনিক দেশ রূপান্তর’ পটত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের সম্পূর্ণই মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকতার মানকে কলুষিত করা হয়েছে। শাহাদাৎ হোসেন খান আরো বলেন, আমি একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। পূর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে পরিবারের সকলেই সচ্ছল। যে কারণে সম্পদ আমাদের পূর্ব পুরুষদের আমল থেকেই বিদ্যমান। কারো সম্পদ থাকা অপরাধের কিছু নয়। কিন্তু সম্পদ যদি হয় অবৈধ উপার্জ্জনের তা হলে তা অবশ্যই অপরাধ। আমি জ্ঞান সত্ত্বে কোন অপরাধমূলক কাজ করিনি। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে আমরা নির্যাতিত। এ সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় আমরা সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু একটি মহল অন্যায় করে সুবিধা না করতে পারায় এ ধরনের অপপ্রচার করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। সংবাদের প্রতিটি ভাষা যাচাই না করে এবং আমার সাক্ষাতকার গ্রহণ না করে এভাবে প্রকাশ করা অনুচিত। এতে সাংবাদিকতা প্রশ্ন বিদ্ধ হবে।