রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়ার বৌবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা চলার অভিযোগ রয়েছে। আর এসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের প্রকাশ্য অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উপজেলার বৌবাজার বাজার সংলগ্ন ভট্টাচার্য পাড়া, আদিবাসী পল্লী গ্রামে অবাধে মাদক ব্যবসা চলে আসছে। গ্রামটি মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান হওয়ায় এখানে নির্বিঘ্নে তারা প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত অবধি গ্রামের বিভিন্ন সড়কে ফেনসিডিল, ইয়াবা, টাফেনটা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে চলেছে। তবে রাত বাড়তে থাকলে বৌবাজার মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, বৌবাজারে প্রভাবশালী মেম্বার ও তার সহযোগী মান্নান (মানাই) দীর্ঘদিন ধরে বাবুপাড়ার ভট্টাচার্য পাড়া, আদিবাসী পল্লী ও বৌবাজার এলাকায় প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে। যা এলাকায় মাদকের হাট নামে পরিচিতি রয়েছে।
মান্নানের কাছ থেকে মাদকসেবীরা ইয়াবা, ফেনসিডিল ও হেরোইন ক্রয় ও সেবন করছে। আর মান্নানের গডফাদার হিসেবে কাজ করছে প্রভাবশালী মেম্বার ও এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।
এলাকাবাসী আরো জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে ওই এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতেও ইয়াবা তুলে দিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। গ্রামের সরকারি দলের প্রভাবশালী কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী সচেতন গ্রামবাসীরা বলেন, এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গোপনে বিভিন্ন দপ্তরে বলা হলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়ে সে তার সহযোগীদের নিয়ে আবার ব্যবসা শুরু করছে। তিনি আরো জানান, মাদকের সাথে লিপ্ত ব্যক্তিদের সাথে আমাদের কোনো প্রকার আপোষ নেই এবং এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স জারি করা আছে।
এই বিভাগের আরও খবর....