পাল্টাপাল্টি হামলায় আবারো উত্তপ্ত ইয়েমেন। হাউথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইয়েমেনের সানায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে সৌদি জোট। এদিকে, যুদ্ধ বন্ধ করে হাউথি বিদ্রোহীদের আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ইরান বলছে, নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য সৌদি আরবে হামলার অধিকার রয়েছে হাউথিদের।
সৌদি আরবের তেল শোধনাগার ও সামরিক স্থাপনায় হাউথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। সোমবার সৌদি জোটের মুহূর্মুহূ গোলায় কেঁপে ওঠে রাজধানী সানা।
এর পাশাপাশি ইয়েমেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর তাইজে চলছে স্থলযুদ্ধ। সৌদি সমর্থিত প্রেসিডেন্ট হাদি সরকারের বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ায় হাউথি বিদ্রোহীরা।
ইয়েমেনে চলমান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ওয়াশিংটন। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে হাউথ বিদ্রোহীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের তেলের স্থাপনায় হাউথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। এ ধরনের হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় আমাদের নাগরিকরাও রয়েছেন। হামলা চালিয়ে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আমরা সব পক্ষকে আলোচনায় বসে সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে, নিজেদের জীবন রক্ষায় হাউথি বিদ্রোহীদের সৌদি আরবে হামলার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ বলেন, সৌদি আরবের কারণেই ইয়েমেন সঙ্কটের সমাধান মিলছে না।
তিনি বলেন, অবিলম্বে সৌদি আরবকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। তবেই শান্তি ফিরে আসবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান দরকার। হাউথি বিদ্রোহীরা বহুবার আলোচনায় বসার চেষ্টা করেছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ৭ বছর ধরে চলা ইয়েমেন যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। এরমধ্যে ১২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক। সহিংসতার কারণে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে ২০ লাখের বেশি ইয়েমেনি।