রাজবাড়ীর পাংশা পৌর এলাকার মো. মারুফ প্রামানিক(১৯) নামের সেই যুবক পায়ের রগ কাটার অভিযোগ এনে ৬ জনের নামে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
গত সোমবার রাতে পাংশা মডেল থানায় বাদী নিজে উপস্তিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ কারী মারুফ প্রামানিক পৌর শহরের কুলটিয়া গ্রামের মো. মতিয়ার প্রামানিকের ছেলে।সে পেশায় একজন রংমিস্ত্রি।
অভিযুক্তরা হলেন, পাংশা থানার বড়গাছী এলাকার মৃত আফজাল সরদারের ছেলে মোঃ রাজিব সরদার(২৬), একই এলাকার মোঃ সালাম সরদারের ছেলে মোঃ শরিফ সরদার(৩৮),খান্দুয়া এলাকার মোঃ আনছার মন্ডলের ছেলে আলামিন মন্ডল (২২),একই এলাকার আইনুদ্দিনের ছেলে মোঃ নয়ন(২৫),বড়গাছী পুলপাড়া এলাকার আক্কাস সরদারের ছেলে মোহাম্মদ সরদার (৩৫),কুড়াপাড়া এলাকার সৈয়দ আলী সরদারের ছেলে মোঃ আলী সরদার(৩৩)।
মারুফ প্রামানিক অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, গত শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার কিছু আগে মই শালা স্ট্যান্ড এলাকায় আসিলে রাজিব সরদার কথা আছে বলে বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার ছাদে নিয়ে যায়।সেখানে বাকি অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র, চাকু, লোহার হাতুড়ি,লোহার রোড নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা আমার চাচাতো ভাই মোঃ নয়ন সরদার (২৬) কে ফাসানোর জন্য তার বসত বাড়িতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখিবার প্রস্তাব দেয়।আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে ভয়-ভীতি সহ খুনের হুমকি দিতে থাকে। এসময় আমি স্থান ত্যাগ করতে গেলে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপ দিলে সেটি গলায় না লেগে কানে লাগে।তখন আমি পড়ে গেলে তারা পায়ের একাধিক স্থানে আঘাত করে। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায় এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোমা প্রামানিক জানান, আহতের ডান পায়ে তিন জায়গাতে কাটা ইঞ্জুরি ছিলো। সেখানে প্রায় ২০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার বাম পায়ে, বাম হাতে ও বাম কানে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে।
পাংশা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযোগে সত্যতা থাকায় খুন জখমের হুমকি ও হুমকি দানের অপরাধে অভিযুক্ত ছয়জনের নামে মামলা রুজু হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।