রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় যশাই ইউনিয়নের ভেল্লাডাঙ্গি গ্রামের নিজাম সরদার (৫৫) কে নির্বাচনের জের ধরে জমিকে ইসু করে মেরে আহত করা হয়েছে। তিনি এখন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে ইউনিয়নের ভেল্লাডাঙ্গি জামি মসজিদের সামনে তাকে তাকে লাঠি দিয়ে মেরে আহত করা হয়।
জানাযায়, নিজাম সরদারের নিজের ৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ ছিল দীর্ঘদিনের। ওই জমির উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা করতে চেয়েছিল গত দুই বছর আগে স্থানীয় মেম্বারা। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় তারা করতে পারে নাই। তবে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজাম উদ্দিন পরাজিত চেয়ারম্যানের পক্ষে নির্বাচন করায় তার উপর হামলা হয়েছে। মুলত জমিকে ইসু করা হয়েছে এই মারামারিতে।
আহত নিজাম সরদার হসপিটালের বেডে শুয়ে কান্না কন্ঠে জানায়, আজ পাংশা পূবালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি গেলে মহিউদ্দিন মোহরী আমাকে বলে আমাদের নবনির্মিত চেয়ারম্যান তুমাকে ডেকেছে। আমি চেয়ারম্যানের কথা শুনে ওই অবস্থায় তার সাথে দেখা করতে যাই। আমি গেলেই স্থানীয় মেম্বার আমাকে বলে এখন জোর করে রাস্তা করবো। তখন সুজন মৃধা আমাকে ঘার ধরে মুখে ঘুশি মেরে রাস্তার উপর ফেলে দেয়। পরে চেয়ারম্যান আবু খা আমাকে দাড় করালে মেম্বার মানিক ও সুজন মৃধা তাদের কাছে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে প্রহার করে। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমার পরিবারের লোকজন আমাকে হসপিটালের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তবে এই মানিক মেম্বার এর আগে ও আমাকে মেরেছিল তখন আমার পায়ে ১৭ টা শেলাই দেওয়া লেগেছিল।
আহত নিজাম সরদারের পরিবারের লোকজন জানায় সুজন মৃধা ভাই তালাশ মৃধা ফোনে হুমকি দিচ্ছে হসপিটাল থেকে বাড়ি না আসলে হসপিটালে গিয়ে মারা হবে।
জানাযায় সুজন মৃধার নামে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে গ্রাম বাসি তাকে মেরে হসপিটালে ভর্তি করে ছিলো।
মানিক মেম্বারের সাথে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিছিভ করেন নাই।
পাংশা মডেল থানার ওসি তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিভাগের আরও খবর....