রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভার ঢেঁকি পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম প্রামাণিক (৪৫) এর বিরুদ্ধে অংশিদারের জমি দখলের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছে তার চাচাতো ভাই মোঃ রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম পাংশা পৌরসভার ঢেঁকি পাড়া এলাকার মৃত- আব্দুল ওহাব মাস্টারের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম প্রামাণিক অভিযোগ কারীর চাচা নুরুল প্রামাণিক এর ছেলে।
অভিযোগ কারী রেজাউল করিম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে তার জমি দখল করে ঘর তুলা হচ্ছে এমন একটা স্টাটাস দেন। তবে সেই স্টাটাসের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মোঃ রফিকুল ইসলাম পাংশা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে পাংশা মডেল থানার ওসি তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ রেজাউল করিম কে থানা ডেকে স্টাটাস ডিলিট করে দেয়।
সরেজমিনে উল্লেখিত জমির উপর গিয়ে দেখা যায়, সেটা একটা ঘর করে রেখেছে অভিযুক্ত রেজাউল করিম। বাকিটা ও দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই দাগে ২৩ শতক জমি ছিলো তবে নদীতে প্রায় সব টায় চলে গেছে ৫/৬ শত উপরে আছে। তবে আমার জমি মাথায় ওই জমি হওয়ায় আমি দখল করে খাচ্ছি।
অভিযোগ কারী রেজাউল করিম বলেন, এই দাগে আমার অংশ প্রায় ১০ শতক। তবে এই দাগে আমার এখন এক শতক ও জমি দিচ্ছে না। সেই সাথে আমাকে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমি উপায় অন্ত না পেয়ে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে স্টাটাস দেই আমার জন্য দখল হয়ে যাচ্ছে। পরে আমাকে পাংশা মডেল থানা থেকে ডাকা হলে আমি উপস্তিত হই। এ সময় ওসি তদন্ত আমাকে স্টাটাস ডিলিট করতে বললে আমি তা ডিলিট করে দেই। তবে এখনো আমার জমি বুঝে দেয়নি তারা।
পাংশা মডেল থানার ওসি তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ এর সাথে স্টাটাসের ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম একটা লিখিত অভিযোগ করে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। সেখানে উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম বলেন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ফেসবুকে লিখেছে এতে করে তার মান খুন্ন হয়েছে। আমি রেজাউল করিম কে ডেকে ওই ফেসবুক স্টাটাস ডিলিট করে দিতে বলি।