রাজবাড়ী পাংশায় সৌদি প্রবাসী রবিউল ইসলাম কে পরিকল্পিত ভাবে পরকীয়ার জের ধরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মর্জিনা বেগম সোহাগী (৩৮) এর বিরুদ্ধে।
রবিউল ইসলাম পাংশা উপজেলাধীন মৌরাট ইউনিয়নের হাসান আলী মৃধা এর ছেলে ও মর্জিনা বেগম পাংশা পৌর এলাকার নারায়নপুরের মহাসীন এর মেয়ে।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানাযায়, রবিউল ইসলাম দীর্ঘদিন সৌদি আরব থাকায় তিনি তার স্ত্রীর নামে দেশে টাকা সহ পাংশা পৌর এলাকায় জমি কিনে ৪ তলা ভবন নির্মাণ করে। ওই বাড়িতে মর্জিনা বেগম ৩য় তলায় ছেলে সুয়াইব (৯) ও কন্য মালিহা (১১) কে নিয়ে থাকতেন। তাদের বাসায় ভাড়াটিয়া ট্রাস্ট ব্যংকে চাকরিরত সাবু (৪০) এর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এ ঘটনা স্বামী রবিউল ইসলাম বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারলে সে দেশে ফিরে আসে। তার দেশে ফিরে আসা স্ত্রী মর্জিনা বেগম মানতে না পেরে পরকীয়া প্রেমিক সাবু সহযোগিতায় স্বামী রবিউল ইসলাম কে পরিকল্পিত ভাবে খাবারের মধ্যে পয়েজন দিয়ে হত্যা করে।
এ বিষয়ে রবিউল ইসলামের ভাই আবু নাসের মৃধা বলেন, আমার ভায়ের সাথে মর্জিনা বেগম এর দীর্ঘ ২৫ বছর আগে বিবাহ হয়। তাদের ঘরে একটা মেয়ে ও একটা ছেলে রয়েছে। আমার ভাই দীর্ঘদিন বিদেশ থাকে, তার উপার্জিত অর্থ স্ত্রীর নামে পাঠাতেন। এমন কি পাংশা পৌর এলাকায় ৬ শতাংশ জমির উপর ৪ তলা ভবন নির্মাণ করেছে। তবে এই ৬ এর মধ্যে ৪ শতাংশ স্ত্রী মর্জিনা বেগম এর নামে। ভাই বিদেশ থাকায় তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়। এই সংবাদ পাবার পর সে দেশে আসলে তাকে হত্যার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিক। এক সময় তারা খাবারের মধ্যে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে আমার ভাই কে খাওয়ায়। সে এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে গেলে তার স্ত্রী ডাক্তারের কাছে নিয়ে অসংগতি প্রকাশ করলে প্রতিবেশীরা তার স্ত্রীর কথা অমান্য করে প্রথমে পাংশা হসপিটালে পরে সেখান থেকে ফরিদপুর পাঠালে পথেই আমার ভাই মারা যায়। ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বিভিন্ন ভাবে আমাদের পরিবারের লোকজন এর উপর হুমকি দিয়ে চলেছে। বিষয়টি যাতে কাউকে না জানায়।
এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম এর স্ত্রী মর্জিনা বেগম সোহাগীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই।